এই সময়: রেশন দুর্নীতির কিংপিন বাকিবুর হলেও এতে যুক্ত ছিলেন খাদ্য দফতরের অনেক অফিসার। তাঁদের মদতেই খাদ্য দফতরের বেতাজ বাদশা হয়ে ওঠেন বাকিবুর। অভিযোগ, বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ডিলারদের একাংশ রেশন দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন খাদ্য দফতরের অফিসাররা। বাকিবুরের মতো যাঁরা রেশন দুর্নীতির মূল হোতা, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, উলটে যাঁরাই বেআইনি কারবার নিয়ে মুখ খুলেছেন, তাঁদের উপরই শাস্তির খাঁড়া নেমেছে।

এর জন্য অনেক রেশন ডিলাররকে সাসপেন্ড এবং জরিমানাও করা হয়েছে। বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার পর অনেকেই এখন সরব হতে শুরু করেছেন। অনেকেই রেশন দুর্নীতির গোপন তথ্য ইডির হাতে তুলে দেওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের নমিনি হিসেবে বাকিবুরের মতো অনেক আটাকল মালিকই এফসিআই থেকে গম নিয়ে তা থেকে আটা বানিয়ে সেটা প্যাকেটবন্দি করে বিভিন্ন হোলসেলার এবং ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছে সরবরাহ করেন।

সেটাই ডিলারদের হাত ঘুরে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছয়। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। বাকিবুরের মতো আটাকল মালিকরা সেই গমের একটা অংশ মাঝখান থেকে গায়েব করে দিচ্ছেন। সেটাই বেশি দামে বিক্রি হয় খোলা বাজারে। ডিলারদের অনেকেই অভিযোগ করছেন, বাকিবুর গ্রেফতার হওয়ার অনেক আগে থেকেই তাঁরা অভিযোগ করেছেন, যে পরিমাণ আটা ডিলারদের কাছে পৌঁছনোর কথা, তা তাঁরা পাচ্ছেন না।

ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে অনেক ডিলার খোলা বাজার থেকে আটা কিনতে বাধ্য হন। কেউ আবার রেশন গ্রাহকদের কাছ থেকেই আটা কেনেন। এ নিয়ে যাঁরাই অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন, তাঁদের নানা ভাবে হয়রান করা হয়েছে। ডিলারদের একাংশের বক্তব্য, অফিসাররা যুক্ত না থাকলে বাকিবুরের পক্ষে এই দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না।

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘লোকে যখন আটা পায় না, তখন ডিলারদের দোষ দেয়। তবে আটার সরবরাহ যদি না থাকে ডিলারররা কী ভাবে দেবে? আমরা অনেক দিন থেকেই এ কথা বলে আসছি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version