এদিন মামলাগুলির সবথেকে শেষে রয়েছে DA মামলা। সেক্ষেত্রে এদিন শুনানি আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। ডিএ মামলার মূল আবেদনকারী কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের তরফে শ্যামল মিত্র বলেন, “মামলার বিচার অন মেরিটে হয়। তবে মামলার শুনানি হবে আশা করতেই পারি। সেকেন্ড হাফটা আমাদের জন্য রাখা হল, এই আশা করছি। তবে জয় নিয়ে আমরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। ওই নিয়ে ভাবনা চিন্তা করছি না। আগামীকালের দিকে নজর রয়েছে।”
অন্যদিকে, অপর মামলাকারী সংগঠন সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “রাজ্যের দায়ের করা SLP খারিজ হয়ে যাবে এই বিষয়ে আমরা নিশ্চিত। কালকের দিনটার দিকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারিরা তাকিয়ে রয়েছেন। DA অধিকার, জানিয়েছিল হাইকোর্ট। মহার্ঘ ভাতা যদি অধিকার না বলা হয় সেক্ষেত্রে তো সর্বনাশ হবে। অন্যান্য রাজ্যগুলোও সরকারি কর্মীদের DA দেওয়া বন্ধ করে দেবে। আমরা নিশ্চিত মহামান্য আদালতের রায় সরকারি কর্মীদের পক্ষেই যাবে।”
উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের DA-র তফাত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ শতাংশ। দীপাবলির আগেই কেন্দ্র সরকার DA বৃদ্ধির ঘোষণা করেন। এর ফলে ৪৮ লাখের বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী উপকৃত হবেন।
এদিকে কেন্দ্রের DA বৃদ্ধির ঘোষণা করার পর থেকেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তে থাকে। বকেয়া DA-র দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন। সেখানে জয় পাওয়ার পর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত।
গত বছর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই আবেদন পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানালেও তা খারিজ হয়ে যায়। এরপর মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, সেই দিকেই থাকবে নজর।