বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এতদিন একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল কত টাকা এসেছে সেটা দেখে পরের মাসে তা জমা দেওয়া হয়। কিন্তু প্রিপেইড মিটার চালু হলে সেই টাকা আগেই দিতে হবে। অনেক গরীব মানুষ আছেন যাঁরা ঠিকভাবে মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন না, ফলে তাঁরা সমস্যায় পড়বেন। তার উপর বিদ্যুৎ দফতরের অনেক কর্মীও কাজ হারাবেন। তাই অবিলম্বে এই স্মার্ট মিটার বন্ধ করতে হবে।
আন্দোলকারীদের যা অভিযোগ…
এই বিষয়ে সিআইটি ইউ-এর জেলা কার্যকরী কমিটির সদস্য গোপাল শুক্লা বলেন, ‘পশ্চিমবাংলায় চারটি শহর সটলেক, নিউ টাউন ,গড়িয়া এবং চন্দননগরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে স্মার্ট মিটার চালু করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে যেখানে স্মার্ট মিটার চালু রয়েছে, সেখানে মানুষ সর্বশ্বান্ত হচ্ছেন। স্মার্ট মিটার হচ্ছে বেসরকারিকরণের প্রথম পদক্ষেপ। আবার সাধারণ গরীব মানুষের বিদ্যুৎ পরিষেবা পাওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে । ছোট ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলি এই স্মার্ট মিটার চালু হলে মরতে বসবে। এই স্মার্ট মিটারকে রোখার জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে আগামীদিনে কৃষক আন্দোলনের মতো বড় আন্দোলনের পথে আমরা হাঁটবো।’
যা বলছে বিদ্যুৎ দফতর…
যদিও বিদ্যুৎ দফতরের তরফে অবশ্য আগেই এই স্মার্ট মিটারের সুবিধাজনক দিকগুলি মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দফতরের তরফে বলা হয়, স্মার্ট মিটার চালু হলে বেশ কিছু সুবিধা হবে গ্রাহকদের। কতো ইউনিট বিদ্যুৎ পুড়ছে, কত বিল উঠছে, সেটা গ্রাহকরা জানতে পারবেন। কেউ অবৈধভাবে কেউ করলে, সেই বিষয়েও সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ চলে যাবে গ্রাকদের ফোনে। আর এই সমস্ত কাজটাই হবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।
বিদ্যুৎ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, অ্যাডভান্স টেকনোলজি দিয়ে হচ্ছে এই মিটার। ফলে গ্রাহকদের কোনরকম অসুবিধার মধ্যেই পড়তে হবে না। বরং পরিষেবায় অনেকটা সুবিধা হবে। কোনওভাবে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই, কন্ট্রোলরুমের কাছে সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ যাবে। এমনকী বাড়িতে কেউ না থাকাকালীন যদি বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হয়, তাহলেও মেসেজ যাবে গৃহকর্তার কাছে।