কী জানা যাচ্ছে?
কথায় আছে বিশ্বাসে মেলায়ে বস্তু তর্কে বহুদূর। আর এই বিশ্বাসের উপর ভর করেই নিজেদের মনোস্কামনা জানাতে যুগ যুগ ধরে মানুষ ছুটে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন কালী মন্দিরে। বিশেষ করে কালী পুজোর দিন ভক্তরা ভিড় জমায় বিভিন্ন কালী মন্দিরে। যেমন উদয়নারায়ণপুরের সোনাতলার মা সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। কালী পুজোকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই সেজে উঠেছে প্রায় হাজার বছরের বেশি পুরাতন প্রাচীন এই মন্দির।
ইতিহাস কী মন্দিরের?
কথিত আছে, অতীতে উদয়নারায়ণপুরের মজা দামোদরের দক্ষিণ পাড়ে সোনাতলা গ্রামে যোগী সাধক হরিসাধন একটি ছোট চালাঘরে মা সিদ্ধেশ্বরীর নিত্য পুজো করতেন। তখন ওই এলাকা ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল। পরবর্তী সময়ে জনবসতি বৃদ্ধি পাওয়ার পর সোনাতলা গ্রামের বাসিন্দা মনোহর করাতি চালা ঘরের পরিবর্তে মায়ের নতুন মন্দির নির্মান করে দেন। যদিও দীর্ঘদিন মন্দিরটি সংস্কার না হওয়ায় গত বছর প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে মন্দিরটি নতুন করে নির্মান করে দেন উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা।
পুরোহিত কী জানালেন?
পাশাপাশি মায়ের নতুন মূর্তিও স্থাপন করা হয়। জানা গিয়েছে, আগে মা সিদ্ধেশ্বরীর কাঠের মূর্তি থাকলেও পরবর্তী সময়ে সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মায়ের মাটির মূর্তি নির্মান করা হয়। মন্দিরের পুরোহিত নব কুমার চক্রবর্তী জানান ভক্তরা তাদের রোগ ব্যাধি নিবারণে মা সিদ্ধেশরীর কাছে মানত করে। ভক্তদের বিশ্বাস মা সিদ্ধেশ্বরীর ভোগ প্রসাদ খেলে রোগমুক্তি ঘটে।
পুজোর আয়োজন কেমন?
নব কুমার চক্রবর্তী জানান, মন্দিরে নিত্য পুজো ছাড়াও কালী পুজোর দিন বিশেষ পুজোর আযোজন করা হয়। তিনি জানান সোনাতলা গ্রামে মা সিদ্ধেশ্বরী থাকায় এখানে কোন কালী মূর্তি পুজো নিষিদ্ধ। যদিও গ্রামের উত্তর প্রান্তে একসময় কালী পুজোর সময় কালী পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই পুজোর ব্যাঘাত ঘটেছিল।পরে মায়ের স্বপ্নাদেশ হয় আগে মন্দিরে পুজো হবে তারপরে মন্দিরের দুই পুরোহিতের অনুমতি সাপেক্ষে এই পুজো হবে। তারপর থেকে সেই পুজোও হয়ে আসছে।