ইয়ার্কি থেকে শুরু, যা ধীরে ধীরে গড়ায় কথা কাটাকাটিতে। আর তার জেরেই কামড়ে এক ব্যক্তির আঙুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এসএসবি জওয়ানের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পোয়ালতোর বাজার এলাকায়।

কী ভাবে শুরু গণ্ডগোল?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পোয়ালতোর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক মিঠু রায় প্রতিদিনের মতোই এদিনও বাজারে যান। সেখানে পার্শ্ববর্তী গ্রাম চ্যাংডুলি পার্ধাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা রবি বর্মনের সঙ্গে দেখা হয় মিঠু রায়ের। পরিচিত হওয়ায় দুইজনের কথাবার্তা শুরু হয়। সেই কথাবার্তা প্রথমে ইয়ার্কি থেকে শুরু হয়। পরে তা ধীরে ধীরে বচসার আকার নেয়। বচসা একসময় মারামারি পর্যন্ত গড়ায়।

কামড়ের পালটা কামড়
অভিযোগ, সেই সময় মিঠু রায়ের ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুল কামড়ে কেটে নেয় পেশায় এসএসবি জওয়ান রবি বর্মন। পালটা রবি বর্মনের মুখে কামড় বসান মিঠু রায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এলাকায়। স্থানীয় মানুষজন ছুটে গিয়ে প্রথমে তাদের মারামারি থামান। তারপর প্রথমে তাদের রায়গঞ্জ থানায় এবং পরে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে দু’জনেই রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উভয় পক্ষই রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

আহত মিঠু রায় বলেন, ‘ওঁর (রবি বর্মন) সঙ্গে দেখা হল, গল্প হল, তারপর আমাকে নিয়ে উলটোপালটা কথা বলল। আমি প্রতিবাদ করে বলি, তোর থাপ্পর খাওয়ার যোগ্যতা। এটা বলার সঙ্গে সঙ্গেই আমায় মারল। আমার আঙুল কেটে খেয়ে নিয়েছে। ইয়ার্কি করতে করতে আমায় মারল। সাধারণ গল্প করতে করতে গণ্ডগোল শুরু হয়ে গেল।’

মিঠু রায় আরও বলেন, ‘প্রথমে আমায় মারল। আমি মারতে যেতেই আমার আঙুলটা ওর মুখে ঢুকে যায়। ও সঙ্গে সঙ্গে কামড় দেয়। আমিও পালটা ওর মুখে কামড় দিয়েছি। আমি ওর শাস্তি চাই।’

তদন্তে নেমেছে পুলিশ
এই ঘটনায় রীতিমতো ছাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। বর্তমানে উভয়েরই চিকিৎসা চলছে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে উভয় পক্ষই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশীর কান কামড়ে কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার থানার পার্বতীপুর গ্রামে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version