কাদের কাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে চলেছে এই নিয়ম?
যে গ্রাহকদের কাছে আধার নম্বর আছে, তাঁদের জন্য এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই অত্যাবশ্যক করে দেওয়া হয়েছে। আর এই জন্য প্রতিটি রেশন দোকানগুলিকে দেওয়া হচ্ছে আইরিস স্ক্যানার।
ঠিক কী জানাচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী?
রাজ্যের ৯৯ শতাংশের বেশি গ্রাহককের ক্ষেত্রে খাদ্য দেওয়ার আগে আধার যাচাই করে দেখা হয়। আর এই জন্য কেন্দ্র রাজ্য খাদ্য দফতরের প্রশংসা করেছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
কী ভাবে হবে এই যাচাই প্রক্রিয়া?
স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, এই যাচাই প্রক্রিয়া ঠিক কী ভাবে সম্পন্ন হবে? কোন কোন তথ্য এক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে চলেছে? বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ যাচাই করা হবে। আর তা যদি কোনও কারণে না নেয় সেক্ষেত্রে OTP যাবে ফোনে। এরপর মিলবে জিনিসপত্র। বর্তমানে রাজ্যে রেশনের উপভোক্তা আট কোটি ৮৪ লাখ। তাঁদের মধ্যে আধার যুক্ত রয়েছে ৮ কোটি ৬৩ লাখের। উল্লেখ্য, আইরিস স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে যাচাই পদ্ধতি প্রসঙ্গও উল্লেখিত করা হয়েছে বিস্তারিতভাবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে ই পস যন্ত্রের মাধ্যমে। যদি তা গ্রহণযোগ্য না হয় সেক্ষেত্রে চোখের মণি যাচাই করা হবে।
রেশন দুর্নীতি ঠেকাতে বিশেষ যন্ত্র
রেশন দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসার পরেই এবার খাদ্য শস্যের পরিমাপ নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে। এবার এই নিয়ে স্বচ্ছতা আনতে এবার ই ওয়েট মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর মাসেই রাজ্যের প্রায় ২০ হাজার দোকানে এই মেশন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হতে চলেছে বলে জানাচ্ছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ হাজার দোকানে তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বাকিবুর রহমান এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। তাঁদের গ্রেফতারির পরই রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ED-র একাংশ মনে করছে, এর সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের যোগাযোগ থাকতে পারে। গোটা ঘটনায় তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।