সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি পেলেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। এখনই পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উপসচিব পার্থ কর্মকারকেও গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুনানি অবধি এই দু’জনকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই।

পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার নয়

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে গৌতম পাল ও পার্থ কর্মকারকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সিবিআই এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করার সময় গৌতম পালের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল এই দুর্নীতির বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি ২০২২ সালের ২৪ অগাস্ট পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন। পালটা যুক্তি দেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সওয়াল-জবাবের পর পর্ষদ সভাপতিকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।

হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান গৌতম

নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কড়া মনোভাব নিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। পর্ষদ সভাপতি ও ডেপুটি সেক্রেটারিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে সিবিআই তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

নিয়োগ দুর্নীতি: তদন্তে সাহায্য করলে গ্রেফতারির আশঙ্কা কেন, প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন গৌতম। তিনি গ্রেফতারির উপর স্থগিতাদেশের আবেদন করেছিলেন। প্রথমে পর্ষদ সভাপতির আবেদনে সাড়া দেয়নি শীর্ষ আদালত। চলতি সপ্তাহে সোমবার আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআই প্রয়োজনে পর্ষদ সভাপতি ও উপসচিবকে জিজ্ঞাসবাদ করতে পারবে। শেষমেশ শুক্রবার এই মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই দুই শীর্ষ আধিকারিক

এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়ে বিতর্ক

২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক পরীক্ষায় খাতা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি সংস্থাকে। খাতা দেখায় বিস্তর গরমিল হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়ে। মামলাকারীর আইনজীবী দাবি করেন, পর্ষদের তরফে জমা দেওয়া ‘ডিজিটাল ডাটা’-য় অনেক গরমিল রয়েছে। এরপরই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তখনই সিবিআইকে পর্ষদ সভাপতিকে জিজ্ঞাসবাদ করার নির্দেশ দেন তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version