এই সময়: খাবারে ভেজাল রুখতে তৈরি হয়েছে নতুন আইন। তা অমান্য করলে জেল-জরিমানা দুটোই হতে পারে। কিন্তু তাতে ছবিটা কি আদৌ বদলেছে? খাবারের মান নিয়ে কতটা সচেতন হয়েছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতারা?

যত দিন যাচ্ছে খাবারের দোকানের সংখ্যা ততই বাড়ছে। বিরিয়ানি, এগরোল, চাউমিনের পাশাপাশি পাড়ার অলিগলিতে এখন চোখে পড়ে মোমোর স্টল। ভেজ, চিকেন-সহ বিভিন্ন ধরনের মোমো বিক্রি হয়। কিন্তু সেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা নিরাপদ, তা বোধহয় খেয়াল করেন না অনেকেই।

স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট বলছে, বাজারে যে সব মোমো বিক্রি হয় তার সবটাই যে টাটকা ও সতেজ, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। অনেক দোকানদার বাসি মোমো গরম করে ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। গরম ভাপ বেরোতে দেখে সেটাকেই টাটকা ভেবে মনের সুখে খেয়ে নিচ্ছেন অনেকে। ফলও ভুগতে হচ্ছে হাতেনাতে।

ফুড স্টল মালিকরা খাবারের মান ঠিক রাখছে কি না, তার উপর নজরদারি চালাতে এবার পুজোর ছুটিতে রাজ্যজুড়ে অভিযানে নেমেছিল স্বাস্থ্য দফতর। তা থেকে যে রিপোর্ট উঠে আসছে তাতে খাবারের মান নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটিতে খাদ্যে ভেজাল ধরতে রাজ্যের মোট ২,৮৬৩টি জায়গায় অভিযান চলে।

১,০৮২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ১,২৪৬ দোকানের কোনও ফুড লাইসেন্স নেই। উত্তর চব্বিশ পরগনায় মোট ২৯৯টি জায়গায় অভিযান চলে। তার মধ্যে ১৪১টি দোকানের ফুড লাইসেন্স ছিল না। ভেজাল খাবারের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দোকানে বাসি মোমো বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। সে জন্য মোট ৪০০ প্যাকেট বাসি মোমো নষ্ট করে দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা।

Biryani : ফের বিরিয়ানির দোকানে হানা ফুড সেফটি অফিসারের, যা মিলল জানলে আঁতকে উঠবেন!
মালদার বেশ কয়েকটি দোকানে মিষ্টিতে শিল্পে ব্যবহৃত সিন্থেটিক কালার মেশানোর প্রমাণ মিলেছে। যে সব মিষ্টির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে সেগুলোও দোকানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। সেই অপরাধে দোকানদারকে নোটিস ইস্যু করা হয়েছে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে স্বাস্থ্যকর্মীরা পুকুরের জলে বাসনপত্র ধুতে দেখেছেন। তাতেই মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে।

কলকাতার বেশ কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, রেফ্রিজারেটারে যে সব খাবার মজুত করে রাখা হচ্ছে তাতে কোনও তারিখ দেওয়া থাকছে না। ফলে সেটা কতদিন ধরে ফ্রিজে মজুত রয়েছে, তা বোঝা কঠিন। কয়েকটি দোকানে খুবই অপরিচ্ছন্ন জায়গায় খাবার তৈরি করা হচ্ছে যা খাদ্য সুরক্ষাবিধির পরিপন্থী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version