কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা AI প্রযুক্তির রমরমা বিশ্বজুড়ে। মানুষের বহু কাজ অনেকাংশে সহজ করে দিচ্ছে এই প্রযুক্তি। নতুন প্রজন্মের পাঠ্যবইতেও সংযোজন করা হচ্ছে AI প্রযুক্তি। শুধু তাই নয়, এবার স্বচ্ছতা প্রসঙ্গেও কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার গুরুত্ব বাড়াতে চাইছে প্রশাসন।

স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কোনও দুর্নীতি যাতে না হয় সেই জন্য এবার AI প্রযুক্তির সাহায্য নিতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যাচাই করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে প্যাকেজ সংক্রান্ত তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, কোনও রোগী হাসপাতালে ভর্তি না থাকা অবস্থাতেও তাঁর কার্ড কোনওভাবে ব্লক করে রাখা হচ্ছে কিনা বা প্যাকেজের থেকে অতিরিক্ত কোনও অর্থ নেওয়া হচ্ছে কিনা তা জানার জন্য AI প্রযুক্তি অত্যন্ত কার্যকরী।

পাশাপাশি কোনও চিকিৎসায় অপ্রয়োজনীয় কোনও অপারেশন বা প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে কিনা সেই সমস্ত তথ্য নিমেষে চলে আসে আধিকারিকদের হাতে। মোটের উপর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেখিয়ে যাতে কোনওভাবেই কোনও দুর্নীতি না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য একপ্রকার মরিয়া রাজ্য। আর সেই জন্য সাহায্য নেওয়া হচ্ছে AI প্রযুক্তির।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি রোগীর চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছিল, রাজ্যের কোনও সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে কোনও রোগী দেখাতে এলেও তার অপারেশন করা হচ্ছিল দূরের কোনও নার্সিংহোমে। এই ধরনের ঘটনা সামনে এসেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, কিছু অসাধু চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীরাই এর সঙ্গে জড়িত। যদি এর কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার কথাও জানানো হয়েছে।

Ration Distribution: রেশন তোলার ক্ষেত্রে নয়া ‘নিয়ম’! আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত রাজ্যের
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তার তরফে এই বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, জেলার পাশাপাশি ব্লক স্তরের সরকারি হাসপাতালগুলিতেও পরিকাঠামোগত উন্নতি করা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু, এরপরেই সরকারি হাসপাতালে রোগী এলে তারা আশেপাশের নার্সিংহোমে চলে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য ভবনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রবণতা অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। আর এর নেপথ্যে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির চিকিৎসক এবং কর্মীদের জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। নির্দেশিকাটিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয় সেক্ষেত্রে কোনও চিকিৎসক আর কোনও জায়গাতে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার সুযোগ পাবেন না।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version