সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের বিজ্ঞানী হিসেবে কাজে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ারের প্লাবনী রায়। পরীক্ষার দু ধাপেই উত্তীর্ণ হয়ে এই সুযোগ পান তিনি। তারপর নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া শেষ করে সদ্য যোগ দিয়েছেন কাজে। মাত্র ২৬ বছর বয়সে ওই যুবতী এই চাকরির পরীক্ষায় প্রথমবার বসেই ‘মিনিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়ান টেক্সটাইলে’-র অধীন সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের বিজ্ঞানী হিসেবে কাজ যোগ দিলেন । প্রথম পোস্টিংই শ্রীনগর। তবে প্লাবনী বলছেন, ‘কুছ পরোয়া নেহি! এগুলি তো জানাই ছিল।’ আপাতত ভালোভাবে ট্রেনিং নেওয়াই লক্ষ্য তাঁর।

আলিপুরদুয়ারের পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মিলনি ক্লাবের পাশে নেতাজি রোডের বাসিন্দা প্লাবনী। তাঁর এই খবরে খুশি পরিবার পরিজনরা । বহু চাকরিপ্রার্থীরা লড়াইয়ে নতুন করে আশাও দেখিয়েছেন তিনি। বাবা বিজয়কুমার রায় বন দফতরের অবসরপ্রাপ্ত করণিক । মা অপর্ণা রায় গৃহবধূ ।

প্লাবনী আলিপুরদুয়ার নিউ টাউন গার্লস হাইস্কুল থেকে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক ও জিৎপুর হাইস্কুল থেকে ৮৯ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছিলেন । এরপর কল্যাণী বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সয়েল সায়েন্স নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের সুযোগ পান তিনি। কল্যাণী থেকে বিএসসি এগ্রিকালচার কোর্স শেষ করে বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে এগ্রিকালচার সয়েল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন । দিল্লিতে ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচার রিসার্চ ইন্সটিটিউট থেকে গত সেপ্টেম্বরে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। যদিও তার আগেই National Testing Agency-র পরীক্ষায় বসেন তিনি। এরপরই প্রথম চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের একজন বিজ্ঞানী হিসেবে নির্বাচিত হন । স্বপ্নপূরণ হয় তাঁর।

সেন্ট্রাল সিল্ক বোর্ডের ফল
এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে প্লাবনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘পরিবার এবং শিক্ষক শিক্ষিকা সকলের সহযোগিতাতে এখানে আসতে পেরেছি।’ কী সাজেশন চাকরিপ্রার্থীদের জন্য? উত্তরে প্লাবনী বলেন, ‘ প্রথমেই যেটার প্রয়োজন তা হল ধৈর্য। সেটা পরীক্ষার জন্য হোক বা গবেষণার কাজে! সব ক্ষেত্রেই দরকার এটা। পাশাপাশি এখন অনেক রকম পরীক্ষা হয়, চাকরি পাওয়া চ্যালেঞ্জ হলেও পরিধি বেড়েছে। ফলে সুযোগ খানিকটা বেড়েছে। সেই খোঁজখবরগুলি রাখতে হবে। সর্বোপরি পড়াশোনা তো করতেই হবে। তার কোনও বিকল্প নেই, ছিলও না। থাকবেও না।’

প্লাবনীর পরিবার সূত্রে খবর, উচ্চমাধ্যমিকের পর থেকেই তিনি স্কলারশিপ পেয়ে চলেছেন। ফলে তার লেখাপড়ার জন্য খরচের কোনও বাড়তি চাপ বহন করতেই হয়নি। পরিবারের সকলেই আশাবাদী, প্লাবনী একদিন আরও বড় জায়গা যাবে। আর প্লাবনী মুখে না বললেও তিনি বিলক্ষণ জানেন, এই সাফল্যের নেপথ্যে একমাত্র তিনিই, শুধু তিনি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version