দক্ষিণবঙ্গের সীমান্তে মোতায়েন ৬৮ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি রানঘাটের জওয়ানদের বিরাট সাফল্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে চোরাচালানকারীকে হাতেনাতে ধরলেন তারা। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, জওয়ানেরা অভিযুক্ত পাচারকারীর থেকে সোনার ১৭টি বার বাজেয়াপ্ত করেন। সিজ করা সোনার ওজন আনুমানিক ১৬.৭ কেজি এবং যার আনুমানিক মূল্য ১০.২৩ কোটি টাকা। চোরাকারবারি এই সোনার বার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।
গোপন সূত্রে বিএসএফ-এর ৬৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের কাছে খবর ছিল যে একটি বিশাল সোনার কনসাইমেন্ট পাচার করা হবে। সেই মতোই পাচারকারীকে ধরতে তৈরি ছিল বিএসএফ বাহিনী। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমান্ডারের নেতৃত্বে জোয়ানদের দুটি দল সন্দেহজনক এলাকার রাস্তার পাশে অ্যাম্বুশ স্থাপন করে। প্রায় এগারোটার সময় বিএসএফ একটি বাইক আরোহীকে আসতে দেখেন। বাইক আরোহী কাছে এলে তাঁকে দেখে সন্দেহ জাগলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জওয়ানেরা। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ে বাইক আরোহী নার্ভাস হয়ে পড়ে। তখনই বাইক এবং লোকটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি শুরু করে বিএফএফ। তল্লাশির সময় ওই ব্যক্তির কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্টের ভিতর থেকে ১৭টি সোনার বার পাওয়া যায়। এরপরই পুরো সোনা বাজেয়াপ্ত করে BSF এবং বাইক চালককে গ্রেফতার করে।
জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম আজর মণ্ডল। বয়স ২৭ বছর। পিতার নাম সিরাজুল মণ্ডল। উত্তর ২৪ পরগনার রাজকোল গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায়, সে একজন দরিদ্র মানুষ এবং ফুল চাষ করে। পেটের দায়ে গত ছয় মাস ধরে সে সীমান্ত পাচারের সঙ্গে জড়িত। সে আরও বলে যে, সে বাংলাদেশের মাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আলম মণ্ডলের কাছ থেকে এই জিনিসগুলি নিয়েছিল এবং ওই সোনার বার বনগাঁর এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছতে যাচ্ছিল। ধৃত চোরাকারবারী এবং বাজেয়াপ্ত সোনা পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কলকাতার শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সেপ্টেম্বর মাসেও রানঘাট সীমান্ত চৌকির জওয়ানরা ২৩ কেজি সোনার একটি বিশাল চোরাচালান আটকে ছিলেন এবং একজন পাচারকারীকেও গ্রেফতার করেছিলেন। চলতি বছরে দক্ষিণবঙ্গে সীমান্তে জওয়ানরা এখনও পর্যন্ত ১৫০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে।