আর কয়েকদিনের অপেক্ষা! তারপরেই কালী পুজোর আনন্দে মেতে উঠবে আপামোর মানুষ। জেলায় জেলায় জাগ্রত কালী মন্দিরে ভিড় জমাবেন ভক্তরা। তেমনই মাহাত্ম্য রয়েছে বর্ধমান জেলার সদানন্দ কালী পুজোর।

পুজোর বিশেষত্ব কী?

ধর্ম যাঁর যাঁর, মা কালী সবার। অনেকটা এরকমই বিশেষত্ব রয়েছে সদানন্দ কালী পুজোর। হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায় নিষ্ঠা ভরে অংশগ্রহণ করেন এই পুজোয়। ধর্ম-বর্ণ মিলে সবাই মেতে ওঠে কালীর আরাধনায়। এই পুজোয় সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন। মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন ফের পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে।

পুজোর ইতিহাস কী?

জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ১৩৯ বছর পূর্বে সদানন্দ সাধক বলে এক ব্যক্তি কালীর সাধনা করতেন। তাই সাধক সদানন্দর নাম অনুযায়ী কালীর নাম করা হয় সদানন্দ কালী। কালনা ডাঙ্গাপাড়া এলাকার হিন্দু মুসলিম সকলেই সদানন্দ কালী পুজোতে মেতে ওঠেন। কালী পুজোর সময় হাতে হাত মিলিয়ে সকল ধর্মের মানুষ এগিয়ে আসেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা ঠাকুরের ফুলতলা থেকে মায়ের প্রসাদ গ্রহণ, পরিবেশন করে থাকে।

পুজোর আয়োজন কী রকম?

শাক্ত মতে এখানে দেবীর আরাধনা করা হয়। মায়ের ভোগে থাকে বিভিন্ন রকমের মাছের পদ, পাঠার মাংস,তার সঙ্গে থাকে তরকারি, পোলাও, পায়েস মিষ্টি l দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ আসে এই পুজোকে দেখতে। পঞ্চমুন্ডি আসনের উপর মায়ের মূর্তি বিরাজমান। এখন থেকেই কালীপুজোর প্রস্তুতি পর্ব চলছে এই মন্দিরে l

Kali Puja 2023 : দেবীর কৃপায় সেরে যায় দূরারোগ্য ব্যাধিও, কালীপুজোয় ভক্তের ঢল নামবে দ্বারবাসিনী মন্দিরে
তবে এই পুজোকে নিয়ে রয়েছে কিছু অলৌকিক ঘটনাও। স্থানীয়রা অনেকেই বলে থাকেন, এলাকার বেশ কয়েকজন মানুষ রাত্রিবেলায় দেখেছেন সদানন্দ কালী মন্দির থেকে হেঁটে বেরিয়ে গিয়ে অপরদিকে শিবের মন্দিরে শিবের সঙ্গে দেখা করতে যান। বর্ধমান জেলার কালনার ডাঙাপাড়া জনহীন এলাকায় পণ্ডিত সদানন্দ গিরি মহারাজ প্রথম পঞ্চমুন্ডির আসনে মা কালীকে প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়। বস্তুত, এই পাড়ায় হিন্দু ও মুসলিম উভয়পক্ষ মিলেই বসবাস করেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি মেনে বসবাসের পাশাপাশি সেই ছোট মন্দির থেকে বড় মন্দির তৈরি করার পরিকল্পনা শুরু করেন সবাই। এরপর মন্দির নির্মাণে বেশিরভাগ হিন্দুরা এগিয়ে এলেও পিছিয়ে থাকেননি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। মায়ের পুজোকে ঘিরে সকলেই সমান ভাবে এগিয়ে আসেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version