দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, এর মধ্যে ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি) লোগো এবং কিআর কোড থাকলেও, তা স্ক্যান করে কোনও তথ্য না মেলায় শুরুতেই ১৭ রকমের বাজি বাতিল হয়। অভিযোগ, বেশ কিছু বাজির প্যাকেটে যে কিউআর কোড মিলেছে, সেগুলিও ভুয়ো। বাকি ১৩টি বাজির পাশ করেছে কি না তা জানা যাবে আজ, সোমবার।
তবে, ব্যবসায়ীরা অবশ্য সেই রেজাল্টের অপেক্ষায় বসে নেই। কারণ, সোমবার বিকেল থেকেই শহরের চারটি জায়গায় শুরু হয়ে যাবে বাজি বাজার। যা দেখে পরিবেশকর্মীদের বক্তব্য, এই বছরও সবুজ বাজির আড়ালে স্টলগুলিতে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি হবে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আজ, সোমবার থেকে বাজি বাজার বসতে চলেছে টালা, কালিকাপুর, বেহালা ও বিজয়গড়ে। চলবে রবিবার ১২ অক্টোবর, রবিবার পর্যন্ত। পশ্চিমবঙ্গ বাজি শিল্প উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না বলেন, ‘কোন বাজি পাশ করেছে, সে তথ্য আমাদের এখনও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।
তবে, হাতে সময় কম বলে সব ব্যবসায়ীদের আমরা নিরির লোগো এবং কিউ আর কোড যুক্ত বাজিই কেনার কথা বলেছি।’ তবে, ব্যবসায়ীদের পক্ষে সব বাজির প্যাকেট স্ক্যান করে দোকানে নিয়ে আসা কার্যত অসম্ভব বলেই দাবি শুভঙ্করের। ফলে, স্টলেও যে ভুয়ো কিআর কোড যুক্ত বাজি ঢুকবে না সেই গ্যারান্টি দিতে পারছেন না কেউই।
পরিবেশকর্মী তথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন মুখ্য আইন আধিকারিক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় মনে করেন, ‘সবুজ বাজি তৈরি হয় এমন কারখানা এ রাজ্য নেই বললেই চলে। ফলে, ভুয়ো কিউ আর কোড বসিয়ে বাজি শহরে ঢুকবে সেটা কারও অজানা নয়।’ শুরু থেকেই এ বিষয়ে প্রশাসন তৎপর না হওয়ার কারণেই বাজি পরীক্ষাতেও ভুয়ো কিআর কোড যুক্ত বাজি ঢুকে পড়েছে বলেই অভিযোগ পরিবেশকর্মীদের।
যদিও রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এক কর্তা বলেন, ‘আমাদের তরফে পুলিশকে যাবতীয় তথ্য দেওয়া হচ্ছে। নিষিদ্ধ বাজির রমরমা ঠেকাতে পুলিশ কাজও করছে।’