এবার মুখ খুলে বিস্ফোরক দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাস। বুধবার হাওড়ার বাড়ি থেকে ED দফতরে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অভিজিৎ। তদন্তে তিনি ED-কে সহযোগিতা করেছেন, এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিস্ফোরক দাবি করেছেন ধৃত মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক।

মন্ত্রীর নির্দেশেই ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর মা-স্ত্রী

প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর সামনে এসেছে একাধিক ভুয়ো সংস্থার নাম। ED-র দাবি, ওই ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমেই রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল। একাধিক ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে অভিজতের মা মমতা ও স্ত্রী সুকন্যা দাসের নাম সামনে এসেছে। সোমবার সেই নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয় প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক।

তিনি বলেন, ‘২০১১-তে উনি মন্ত্রী হওয়ার পর ২০১৪ অবধি আমি আপ্ত সহায়ক ছিলাম। সেই সময়ের কথা আমার কাছে যা জানতে চাওয়া হয়েছে সব বলেছি। মন্ত্রীর নির্দেশেই সুকন্যা ও মমতা দাসকে ডিরেক্টর করা হয়। মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, মানতে তো হয়ই। সেই কারণে ডিরেক্টর করা হয়েছিল। আমি সবটাই ED-কে জানিয়েছি। আমি জানতাম মন্ত্রী ব্যবসা করবেন, সেই কারণে কোম্পানিগুলি খোলা হয়েছে।’

Ration Scam : জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন পিএ-র বাড়িতে ইডি, সঙ্গে মোবাইল ডিকোডার
‘লেনদেনের কথা জানতাম না’, দাবি অভিজিতের

স্ত্রী ও মা ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর পদে থাকলেও তিনি কোনও লেনদেনের কথা জানতেন না বলে এদিনে দাবি করলেন জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন পিএ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিজিৎ বলেন, ‘কোনও লেনদেনের কথা জানতাম না। আমরা মা ও স্ত্রী ডিরেক্টর থাকলেও অনেক আগেই তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। আমি ৩৩ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমি কোনও আতঙ্কে ভুগছি না। আমি জোর গলায় বলছি, কোনও দুর্নীতি করিনি। আমি কেন আপ্ত সহায়কের দায়িত্ব ছেড়েছিলাম, সেটা তদন্তকারীরা দেখবেন।’

ডায়েরি নিয়েও সাফাই অভিজিতের

তল্লাশির সময় অভিজিতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি খয়েরি ডায়েরি। সেই ডায়েরিতে টাকা লেনদেন বিষয় লিখে রাখা হয়েছে বলে ED সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল। সেই নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন পিএ। তিনি বলেন, ‘ডায়েরি ED-কে আমি দিয়েছি। ওনারাই সেটা বলবেন। টাকা নিয়ে ED আমাকে কিছুই বলেনি, জানতেও চায়নি। ডায়েরিতে কিছু ছিল। সেটা আমি ED-কে দিয়েছি। সেই নিয়ে বাইরে কিছু বলতে পারব না। তদন্ত চলছে, এর বাইরে আমি কিছু বলব না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *