রেশন দুর্নীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে রেশন ডিস্ট্রিবিউটর থেকে চাল কল- আটা কলের মালিকদের। আর এই পরিস্থিতিতেই রাজ্যে রেশন পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রেশন ডিলারদের সংগঠন। পাশাপাশি রাজ্যে ধান কেনার কাজ শুরু হলেও তাতে গতি নেই। এই বিষয়টিও তুলে ধরেও অনেকেই ‘ভয়ে’-র আশঙ্কা করছেন।

রাজ্যজুড়ে গত শনিবার থেকেই একাধিক ডিস্ট্রিবিউটর, চাল কল, আটা কল মালিকদের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক ডিলারের বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ED। এর প্রভাব কি পড়তে পারে রেশন বন্টন ব্যবস্থায়?

ডিলারশিপেও দুর্নীতি? হাইকোর্টে ধাক্কা ‘প্রভাবশালী’র!

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রা‌ইস শপ ডিলার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘রেশন ডিলারদের এখনও কোনওভাবেই এর মধ্যে জড়ানো হয়নি। রেশন ডিস্ট্রিবিউটর এবং হোল সেলারদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রথমে এটা সকলের পরিষ্কার হওয়া উচিত। আমার মতে, রেশন বন্টন ব্যবস্থাতেও সমস্যা হবে। ধান কেনার যে কাজ রাজ্য করছে, সেখানে রাইস মিলাররা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে না। ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক যাচাই ছাড়া খাদ্য বণ্টন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বহু সংখ্যক প্রকৃত গ্রাহক বঞ্চিত হবেন বলেই আমার মনে হয়।’

হিসেব মতো ১ নভেম্বর থেকেই রাজ্যে ধান কেনার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু, খুব একটা কোনও জায়গাতেই ধান বিক্রি করতে চাষিদের দেখা নেই। তবে কি রেশন ডিলারদের আশঙ্কাই সত্যি! জেলায় থাকা খাদ্য দফতরের কর্তারা কিন্তু বলছেন, বিষয়টি একেবারেই তা নয়। মাঠে এখনও ধান আছে। ধান কাটার কাজ শেষ হয়নি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ধান বিক্রি করতে আসা চাষিদেরও দেখা যাচ্ছে না। নভেম্বরের শুরুতে এটা একেবারেই স্বাভাবিক একটা বিষয়। অনেক বছরই এরকম হয়ে থাকে। এটার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। যদিও চালকল মালিকদের চুক্তির বিষয় নিয়ে অনেকেই মুখ খুলতে নারাজ।

প্রসঙ্গত, নভেম্বর মাস থেকে সরকারিভাবে ধান কেনা শুরু হলেও জানা গিয়েছে, এখনও সে কাজে গতি আসেনি। জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় ধান ক্রয়
কেন্দ্র (সিপিসি) খোলা হয়েছে। কিন্তু, তারপরেও ধান কেনার পরিমাণ অনেকটাই কম। যদিও জেলার খাদ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, ধান কেনা ঠিকঠাকভাবেই হচ্ছে। আগামী এক দেড় সপ্তাহের মধ্যে এই কাজে আরও গতি আসবে।

এ বিষয়ে রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী রথীন ঘোষকে বার বার ফোন করা হলেও তা বেজে গিয়েছে। হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ করা হলে তারও উত্তর আসেনি। রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে এই সময় ডিজিটালের পক্ষ থেকে ফোন করা হলে তিনি তাঁর জেলায় একটি অনুষ্ঠানে থাকায় কথা বলতে পারেননি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version