‘একজন অসৎ ব্যক্তিও নিজেকে সৎ বলেন, তিনি আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে আছেন,’ নাম না করে ঠিক এই ভাষাতেই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে আক্রমণ করলেন সুজাতা মণ্ডল। মঙ্গলবার জয়পুরে দলের এক বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিয়ে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি এমনটাই দাবি করেন তিনি।

যা বললেন সুজাতা…
সুজাতা মণ্ডল এদিন বলেন, ‘তিনি (সৌমিত্র খাঁ) একজন আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ব্যক্তি। সাংসদ হিসেবে ওঁর প্রাপ্য বেতন ও দু’নম্বরি সম্পত্তির হিসাব করুন। তিনি নিজের নামে করেননি, বাঁকুড়ার ফ্ল্যাট-জমি বাবার নামে, বিষ্ণুপুরের ফ্ল্যাট মায়ের নামে। দুর্গাপুর সিটি সেন্টারে দু’কোটি টাকার বিশাল বাড়ি জামাইবাবু বা অন্য কারও নামে। কলকাতা, দিল্লীতে ফ্ল্যাট, একাধিক গাড়ি, একজন মহিলার নামেও সম্পত্তি আছে।’ সুজাতা মণ্ডল আরও দাবি করেন, ‘ইডি, সিবিআই তদন্ত বিষ্ণুপুরের সাংসদের বিরুদ্ধেই হওয়া উচিৎ। শুধুমাত্র ভয় পেয়ে তিনি সম্পত্তির হিসাব তিনি দিচ্ছেন।’

সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শশী
প্রসঙ্গত, সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বিজেপির নেতা-মন্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। শশী পাঁজার মুখে যাঁদের কথা উঠে আসে,তাঁদের মধ্যে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও অধিকারী পরিবারের নামও ছিল। আর শশী পাঁজার সেই মন্তব্যের পর ওইদিনই নিজের ও নিজের পরিবারের সম্পত্তির হিসেব তুলে ধরেন সৌমিত্র খাঁ।

হিসেব দেন সৌমিত্র
সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, ২০১১ সালে তিনি ১৮ লাখ টাকার সম্পত্তির খতিয়ান দিয়েছিলেন। সেই সময় বিধায়ক হিসেবে ভোটে লড়েছিলেন। ওই সময় বিধায়কদের বেতন ছিল মাসে ৪৮ হাজার টাকা। এরপর ২০১৪ সালে তিনি লোকসভার সাংসদ হন। যার দরুণ বেতন পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাক। ২০১৯ সালে ফের সাংসদ হয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে শুধু বেতনই পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত ৮৬ লাখ টাকা। তারপরে আরও ৮ মাসের জন্য ৮ লাখ টাকা পেয়েছেন। বিধায়ক হিসেবে তিনি বেতন পেয়েছিলেন ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

পাশাপাশি নিজের পরিবারের সদস্য, অর্থাৎ বাবা-মা ও পৈতৃক সম্পত্তির হিসেবও তুলে ধরেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণুপুরের সাংসদের দাবি, তাঁদের সমস্ত সম্পত্তি হিসেব করলে দাঁড়ায় ৬০ লাখ টাকা। আর তিনি বেতন পেয়েছিলেন ১ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকার বেশি। নিজের সম্পত্তির হিসেব দিয়ে পালটা শশী পাঁজার উদ্দেশে সৌমিত্রর পরামর্শ, ‘আপনারা কি ভাবেন সবাই চোর? পশ্চিমবাংলার সব রাজনীতিবিদকে চোর ভাববেন না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version