প্রসেনজিত্ মালাকার: উপাচার্য হিসেবে কখনও আশ্রমিকদের নিশানা করে, কখনও অমর্ত্য সেনের জমি নিয়ে প্রশ্ন তুলে, কখনও খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। সেই বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর কার্যকালের মেয়াদ আজ শেষ হল। সূত্রের খবর, ওই পদ তাঁর মেয়াদ আর বাড়াল না কেন্দ্র। এরপর বিশ্বভারতীর অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কলাভবনের অধ্য়াপক সঞ্জয় মল্লিক।

আরও পড়ুন-‘আপনার সাহিত্য কীভাবে স্বীকৃতি পায় তা সহজেই বোধগম্য’, মুখ্যমন্ত্রীকে ফের নিশানা বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

বিশ্বভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য না থাকলে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে সিনিয়র অধ্যাপকদের। সেই অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন সঞ্জয় মল্লিক। ওই পদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য যে প্রসেস তাও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। খুব দ্রুত সঞ্জয়ের নাম ঘোষণা হবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা যাচ্ছে।

উপাচার্য পদে বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর মেয়াদ না বাড়ায় খুশির ছোঁয়া বিভিন্ন মহলে। আজ দুপুরে একবার উপাচার্য বাইরে বেরিয়ে মূল অফিসে যান। সেখানে কিছুক্ষণ কাটানোর পরে ফের তিনি নিজের বাসভবনে ফিরে যান। সেখানেই দায়িত্ব হস্তান্তরের কাজ হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।   

এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করায় বিদ্যুত্ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলেন বীরভূম জেলা প্রাথমিক সংসদের সভাপতি। সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রীকে কয়েকটি চিঠি দেন বিদ্যু্ত চক্রবর্তী। কয়েক দিন আগে দেওয়া একটি চিঠিতে নজরবিহীন ভাষায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি সেখানে লেখা হয়, মোট ৫ পাতার চিঠিতে ‘শান্তিনিকেতন স্মৃতি’, ‘কর্মী রবীন্দ্রনাথ’-সহ একাধিক বই থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যাঙ্গ করেছেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি লিখেছেন, আমার জানা নেই যে কেউ আপনার মতো এত গুণসম্পনা আছেন কিনা? আপনার সহিত্য খুব সহজেই স্বীকৃতি কেন পায় তা সহজেই বোঝগম্য। উপাচার্য আরও লিখেছেন, বিশ্বভারতীতে পরিবর্তন হচ্ছে। তাই যারা এর থেকে ফয়দা নিতেন তারা এখন ভীত। প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে তেমনই তারা এবার শেষ কামড় দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতীর একটি রাস্তা ২০১৯ সালে অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। সেই রাস্তা ফেরত চেয়ে তৃতীয়বার একটি চিঠি লেখেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। সেই চিঠি লিখতে গিয়ে কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁর কটাক্ষ, ‘আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন!’। এখানেই শেষ নয়, বিদ্যুত্ চক্রবর্তী মনে করিয়ে দেন, আপনার মন্ত্রিসভার ২ সদস্য এখন জেলে রয়েছেন। কয়েকজন বিশ্বস্ত সঙ্গীও জেলে রয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে তার তিহাড় জেলে থাকার কথাও টেনে আনেন বিদ্যুত্ চক্রবর্তী।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version