আলোর উৎসবের শেষে মুহূর্তের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়ছে। বারোয়ারি কালীপুজো মণ্ডপগুলিতে জোর কদমে চলছে ‘ফিনিশিং টাচ’-এর কাজ। বাড়ির পুজোগুলিতেও শুরু হয়েছে প্রতিমা নিয়ে আসার তোড়জোড়। স্বাভাবিকভাবেই নাওয়া-খাওয়া নেই কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। স্টুডিয়োয় স্টুডিয়োয় চরমে ব্যস্ততা। কিন্তু মৃৎশিল্পীদের বিরক্তি বাড়ছে ক্রমেই। নেপথ্যে সেলফি তোলার হিড়িক।

সেলফিতে বিরক্ত কুমোরটুলি

দুর্গাপুজোর আগে নির্মীয়মাণ প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে ‘পোজ’ দিতে দেখা যায় তরুণ-তরুণীদের বিরুদ্ধে। মহালয়ায় লাফিয়ে বাড়ে ভিড়। এতে একদিকে যেমন, মৃৎশিল্পীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়, তেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের যাবতীয় গোপনীয়তা নষ্ট হয়। কুমোরটুলির অন্দরে ‘ছবি তোলা নিষেধ, আবাসিক এলাকা’, পোস্টারও চোখে পড়েছে।

এবার কালীপুজোর আগেও প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে নিজস্বী তোলার হিড়িক এখন শিল্পীদের মাথাব্যথার সব থেকে বড় কারণ। শিল্পীদের কথায়, প্রত্যেকদিন অসংখ্য মানুষ এসে কালী প্রতিমার সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলছেন। এতে তাঁদের কাজ করতে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। অনেককে নিষেধ করা হচ্ছে ছবি তোলার জন্য, কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না, বলে জানিয়েছেন শিল্পীরা। তাঁদের দাবি, এইসব সামাল দিতে গিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজে অনেকটাই দেরি হচ্ছে।

Kali Pujo 2023 : কেজি কেজি মুক্তো দিয়ে তৈরি হচ্ছে কালী! ব্যারাকপুরের প্রতিমা নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে
কী বলছেন শিল্পীরা

সেলফি তোলার এই ঘটনায় বিরক্ত কুমোরটুলির শিল্পীরা। তপন পাল নামে এক শিল্পী প্রসঙ্গে বলেন, ‘কী আর বলব! আমাদের দোকানের সামনে তরুণ-তরুণীদের ভিড় বেড়েই চলেছে। কী যে করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। কাজ করতে এত সমস্যা হচ্ছে। সবাই ক্যামারে নিয়ে মূর্তির সামনে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত। বারবার করে সরে যেতে বলেও কোনও লাভ হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আমাদের খারাপ ব্যবহার করতে হচ্ছে। যাঁরা আসছেন, তাঁদের বোঝা উচিত যে আমরা এখানে কাজ করছি।’

কুমোরটুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে

কুমোরটুলিতে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বারোয়ারি মণ্ডপগুলির তরফে ইতিমধ্যে শিল্পীদের কাছে আসতে শুরু করেছে ফোন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কালী প্রতিমা ডেলিভারি দিতে এখন কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। ইতিমধ্যেই কালীপুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার একাধিক পুজো মণ্ডপ উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো নিয়েও মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপুজোর সময় বাড়ি থেকে বেরোতে পারিনি। মা আমাকে আজ জানবাজারে টেনে নিয়ে এসেছেন। খুবই ভালো লাগছে। দুর্গাপুজো খুব ভালো কেটেছে। আশা করি কালীপুজো খুবই ভালো কাটবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version