জমি সরকারের, মালিক সরকারি দপ্তর। কিন্তু সেখানে মাছ চাষই হোক বা অন্য কোনও ভাবে রোজগার করছে অন্য কেউ। রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ বার থেকে যাতে সেই জলাভূমি থেকে সরকার রাজস্ব আদায় করতে পারে, তার জন্যে চার মন্ত্রীকে নিয়ে কমিটি তৈরি করা হলো। বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই কমিটি প্রথমে সমীক্ষা করে দেখবে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের হাতে এই ধরনের কত জলাশয় রয়েছে। সেই জলাশয় মাছ চাষ বা অন্য কোনও ভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা। তার পরে ঠিক হবে, সেখান থেকে সরকার কী ভাবে রাজস্ব আদায় করতে পারে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

WB Cabinet Meeting Live: মন্ত্রিত্ব অটুট বালুর, সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায়! ‘ষড়যন্ত্র’ই দেখছে শাসকদল
এর আগে সরকারি জমিতে গাড়ি পার্কি-সহ একাধিক বিষয় নজরে এসেছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তার পরেই সীমান্ত এলাকা থেকে শুরু করে তীর্থক্ষেত্র বা পর্যটন এলাকায় সরকারি জমিতে সেই সব বেআইনি পার্কিং বন্ধ করা হয়। দেখা গিয়েছিল, কোথাও স্থানীয় পুরসভা-পঞ্চায়েত কিংবা ব্যক্তিগত দখলে রয়েছে সরকারি জমি। সেখান থেকে আয় করছে অন্য কেউ। একটি প্রশাসনিক সভায় এই তথ্য জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই ওই ব্যবস্থা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

জলাজমি নিয়ে যে কমিটি গড়া হয়েছে তাতে রয়েছেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, জলসম্পদ ও জল অনুসন্ধানমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। কমিটি কলকাতা-সহ বিভিন্ন জেলায় সরকারি জলাজমি এবং জলাশয়ের খোঁজ করবে। সেখানে কোনও সমবায় সমিতি বা অন্য কোনও সমিতি মাছ চাষ বা অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করছে কিনা, দেখা হবে। তা হলে তাদের সরকারি ভাবে ওই জলাভূমি লিজ় দেওয়া হতে পারে। তার জন্যে সরকারকে রাজস্ব দিতে হবে। রাজস্ব কত হবে কিংবা আর কী কী নিয়ম মানতে হবে, তা ঠিক করবে কমিটিই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version