শ্রীকান্ত ঠাকুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুরের ‘মা মাটিয়া কালী’র পুজোর বয়স প্রায় ৬০০ বছর ৷ মা মাটিয়া কালী থাকেন মাটিতে, তাই জমিদারও শয়ন করতেন মাটিতেই।

আরও পড়ুন: kalipuja 2023: দামোদরের গভীর থেকে উদ্ধার কঙ্কালেশ্বরী! চৈতন্যদেবের সঙ্গে কী যোগ এই কালীর?

পুরনো দিনাজপুরের বড় জনপদগুলির অন্যতম কুশমন্ডি ব্লকের আমিনপুর গ্রাম। প্রায় ৬০০ বছর আগে শক্তির উপাসকরূপেই মাটিয়া কালীর পুজো শুরু করেছিলেন অধুনা বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত হরিপুর বড় তরফ স্টেটের তৎকালীন জমিদার ভূপশ্রী গৌরীপ্রসাদ চৌধুরী। এখন জমিদারি না থাকলেও জমিদারদের অংশগ্রহণ-সহ বর্তমানে আমিনপুর গ্রামের সকলেই এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। জমিদার বংশের বংশপরম্পরায় সেবায়েত হিসেবে কাজ করে চলেছেন কমলাপদ সিংহ, বিশু সিংহেরা। বটগাছের নীচে বিশাল উঁচু মাটির বেদীতে মাটিয়া কালী এখানে পূজিতা হন রটন্তী কালী হিসেবে।

আমিনপুর গ্রামকে শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাজস্থান থেকে একসময় ক্ষত্রিয় রাজপুত লাঠিয়ালদের আনিয়েছিলেন সেই সময়ের জমিদারেরা। সেই লাঠিয়ালদের বংশধরায় এখন মন্দিরে প্রধান সেবায়েত হিসেবে কাজ করেন। কথিত আছে, মাটিয়া কালীর যে স্থানে মায়ের পূজা হয় সেই স্থানে পাকা মন্দির নির্মাণ করা যায় না। লোকমুখে প্রচলিত, মাটিয়া কালী মায়ের মন্দির নেই বলে, তিনি মাটিতে অধিষ্ঠিতা বলে সেই গ্রামের জমিদারেরাও কেউ কখনও পালঙ্কে ঘুমোননি। পালঙ্কে ঘুমোতে পারতেন না তাঁরা।

আরও পড়ুন: Bhoot Chaturdashi 2023 | kalipuja 2023: আজই জ্বালতে হবে ১৪ প্রদীপ! জেনে নিন দীপদানের সময়…

সেই রীতি অনুযায়ী পূজার সময় এখনও নিয়ম মেনে মাটিয়া কালীর পূজা হয়। এই পুজোকে ঘিরে প্রচুর  জনসমাগম হয়। পুজোর দিন প্রচুর পাঁঠা বলি উৎসর্গ করেন এলাকার ভক্তেরা। 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *