কী জানা যাচ্ছে?
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, নাজিমুদ্দিন দালাল পেশায় একজন নৈশপ্রহরী। মূলত তিনি ধলডাঙ্গা মোড় এলাকাতেই ওই কাজ করতেন। এদিন ভোরে পাতাকোলা এলাকায় তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। তার বাবাকে ‘খুন’ করা হয়েছে বলেই মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
জাতীয় সড়ক অবরোধ
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, মৃতদেহ আটকে রেখে জাতীয় সড়ক অবরোধ চলছে। দিনের ব্যস্ততম সময়ে বিক্ষোভের কারণে এই অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে অসংখ্য যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন। মৃতের ছেলে জানান, আমার বাবা এখানে নৈশ্য প্রহরীর কাজ করেন। এখানে যাতে চুরি, ডাকাতি না হয় সে কারণে পাহারা দেওয়ার কাজ করেন। কিন্তু কাল থেকে ফোন করছি, কিন্তু ফোনে পায়নি। আজ সকালে ভ্যান নিয়ে আমি গিয়ে দেখি বাবার মৃতদেহ পড়ে আছে। কে বা কারা এটা করল বুঝতে পারছি না।
এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাজিমুদ্দিন দালাল ওরফে নাজু নামে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলেই দাবি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনও দুষ্কৃতী স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে পুলিশের তরফে এখনও কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বাঁকুড়া জেলায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের পালেরবাঁধ মোড়ের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শান্ত ভুঁই নামে এক ব্যক্তির পিক আপ ভ্যানের ধাক্কাতে মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এই ঘটনার পরেও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি করা হয়। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়।