কী জানা যাচ্ছে?
পশ্চিমবঙ্গের আবাস যোজনা এবং একশো দিনের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনাকে এবার কালীপুজোর থিম হিসেবে বেছে নিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি শহরের প্রখ্যাত হঠাৎ কালী মায়ের ভক্তরা। কাঁথি আউটডোর মোড়ে এবার শ্যামাপুজোর থিম ‘নির্মাণ’। ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিকরা এখানে হঠাৎ কালী মায়ের মন্দির নির্মাণ করছেন। সেই সঙ্গে কালী মায়ের কাছে প্রার্থনা করছেন, খুব শীঘ্রই যেন তাদের আটকে থাকা প্রকল্পের টাকা চলে আসে।
কালীপুজোয় প্রতিবাদের বার্তা
হঠাৎ কালীর এই পুজো এবার সাত বছরে পা দিয়েছে। এখানে মণ্ডপ পরিকল্পনায় রয়েছেন প্রখ্যাত শিল্পী সুতনু মাইতি। সাত বছর ধরে দুই হাতের মা হঠাৎ কালী মূর্তি এখানে আদিবাসী রমণী রূপে পূজিত হতেন। এবার মা হঠাৎকালী নতুন রূপে আসছেন বলে জানালেন ভক্তরা। ভক্তি ভরে সারারাত নিষ্ঠার সঙ্গে হঠাৎ কালী মায়ের আরাধনা এখানকার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
পুজোয় কীরকম আচার?
পুজোর দিন মায়ের কাছে মাছ ভোগ নিবেদন করেন ভক্তরা। বহু মহিলা ও পুরুষরা পুজোর দিন এখানে এসে মানত করেন। ভক্তদের বিশ্বাস মা এখানে খুব জাগ্রত। তাই যে যা মানত করেন, তাঁদের মনস্কামনা পূরণ হয়। প্রতি বছর পুজোর পরের দিন, ভক্তদের এখানে বসিয়ে অন্য ভোগ খাওয়ানো হয়।
উদ্যোক্তারা কী বলছেন?
এখানকার পুজোর অন্যতম ভক্ত সঞ্জয় জানা, প্রণব মিশ্র, কুহেলি রায় বলেন, ‘মায়ের পুজোয় যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য এখানে পুজোর দিনগুলিতে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা হয় না। কোনরকম চাঁদা তোলা হয় না। ভক্তদের প্রণামী দিয়েই মায়ের প্রতিবছর পুজো হয়।’ এবার ব্যতিক্রমী থিম ও মণ্ডপ শয্যার জন্য এখানকার হঠাৎ কালী মায়ের পুজো রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। হঠাৎকালী মা খুব জাগ্রত বলে ভক্তরা মনে করেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বহু সাংবাদিক এখানকার পুজোর অন্যতম ভক্ত। এখানে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো ও হোম যজ্ঞ হয়।’