এদিন সওকত মোল্লা আরও দাবি করেন, নওশাদ সিদ্দিকি যে বিভিন্ন জেলায় প্রচারে যাচ্ছেন তাতে কোন লাভ হবে না। লোকসভায় ভোটে যেখানে যেখানে আইএসএফ প্রার্থী দেবে সেই সব কেন্দ্রে তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। না হলে গণনার শেষে নাকখত দিয়ে তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন।
প্রসঙ্গত আগামী ২০২৪-এর নির্বাচনে নওশাদ সিদ্দিকি ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে পারেনে বলে শোনা যাচ্ছে। আর তিনি ডায়মন্ডহারবার থেকে লড়লে তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এমনকী প্রকাশ্যে নওশাদের প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও।
এদিকে আবার সম্প্রতি ফলতার সভা থেকে কারও নাম না করে এই বিষয়ে মুখ খোলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘অনেকে ডায়মন্ডহারবার থেকে দাঁড়নোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, দাঁড়ান, এটাই তো গণতন্ত্রের রীতিনীতি ঐতিহ্য, খারাপ কী? খুব ভাল, যে দাঁড়তে চায় দাঁড়াতে পারে, এটাই তো ভারতবর্ষের গণতন্ত্রের রাজনীতির নীতি বা ঐতিহ্য। গুজরাটের কোনও নেতা চাইলেও জায়মন্ডহারবারে দাঁড়াতে পারেন, উত্তরপ্রদেশের কোনও নেতা চাইলেও ডায়মনডহারবারে দাঁড়াতে পারেন। গণতন্ত্রে এটাই তো আমরা আশা করি।’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সব পক্ষেরই, মানুষের কাছে যাওয়ার অধিকার আছে। ভারতবর্ষের যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে কোনও মানুষের কাছে যাওয়ার অধিকার আছে। মানুষ একপক্ষের কথা শুনবে, একপক্ষের কথা শুনবে না। একপক্ষের কথা গ্রহণ করবে, একপক্ষকে বর্জন করবে।’
প্রসঙ্গত, আগামী বছর দেশে হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যের লোকসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ডায়মন্ডহারবার। সেক্ষেত্রে সেই আসন নিয়ে এখন থেকেই জল্পনা রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহলের একাংশ।