খেতে ভালবাসত শ্বশুর, যখন যা ইচ্ছে মন মতো করে দিতে হত বউমাকে। পছন্দমতো খাবার না পেলেই শ্বশুরের সে কী রাগ! এবার পছন্দের খাবার না মেলা নিয়ে বিপত্তি। কালীপুজোর রাতে বউমাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। হাবড়া থানা এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।

ঠিক কী ঘটনা?

পছন্দমতো খাবার না মেলায় বউমাকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানার শ্রীনগর বল খেলা মাঠ একালায়। মুক্তি বিশ্বাস নামের এক গৃহবধূকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কালীপুজোর দিন এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম গোপাল বিশ্বাস। তিনি পেশায় প্রাক্তন সেনাকর্মী বলে জানা গিয়েছে।

দুপুরে শ্বশুরের ইচ্ছে মতো ইলিশ মাছ ভাপা রান্না করে দিয়েছিলেনব বউমা। এরপরই পেঁয়াজি খাবার ইচ্ছা হয় শ্বশুর গোপাল বিশ্বাসের। কিন্তু বউমা পেঁয়াজির বদলে চিকেন পকোড়া করে দিতেই রেগে যান অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। হঠাৎ-ই দরজা খুলে দাঁ দিয়ে বউমাকে এলোপাথারি কোপাতে থাকেন।

Bankura News : কালীপুজোর সকালে রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার, প্রতিবাদে বিষ্ণুপুর জাতীয় সড়ক অবরোধ
ছেলে মোমবাতি কিনে দোকান থেকে বাড়িতে ঢুকতেই দেখেন এই রকম পরিস্থিতি। রক্তে ভেসে যাচ্ছেন স্ত্রী। তড়িঘড়ি স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় মুক্তি বিশ্বাস নামে ওই গৃহবধূর। গোটা ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হাবড়া থানার পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। তাকে জেরা করা হচ্ছে।

কী বলছেন স্থানীয়রা?

প্রতিবেশীদের কথায় গোপাল বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি বদমেজাজি ছিল। একই সঙ্গে সে খেতে ভালবাসত। পছন্দমতো খাবার খেতে না পারলেই প্রতিনিয়ত চলত অশান্তি। তবে কালীপুজোর দিন ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটল, তা এখনও প্রতিবেশীদের কাছে স্পষ্ট নয়।

অভিযুক্ত ব্যক্তির ছেলে ও মৃতার স্বামী বলেন দেবু বিশ্বাস বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি ঘরে ছিলাম না। সঠিক বলতে পারব না। তবে কেন খুন করল বুঝতে পারছি না। আমি চাই বাবার ফাঁসি হোক। আমার স্ত্রীয়ের সঙ্গে এত ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে কী হল আমি নিজেও জানি না। সকালবেলাই বাবার জন্য ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছিলাম। এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করেছিলেন। বাবা খেতে ভালবাসতেন। আমার স্ত্রী পরিশ্রম করে রান্না করে খাওয়াতেন। কিন্তু সামান্য কারণে এমন ঘটনা ঘটিয়ে দিল, বুঝতে পারছি না। ‘



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version