ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় গোটা রাজ্যে মহাধুমধামে পালন করা হচ্ছে ভাইফোঁটা। বছরের এই বিশেষ দিনে, ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা’, বাংলার চিরাচরিত এই পঙতিটি বলে ভাইদের সুখ সমৃদ্ধি কামনা করে ভাইদের কপালে ফোঁটা দেন দিদি-বোনরা। ভাইয়ের মঙ্গল কামনার এমন সংস্কৃতি বিশ্বের প্রায় সব দেশেই অমিল। আর এবার ভাইফোঁটার সংস্কৃতির সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে গেলেন জনা কয়েক ফরাসি তরুণী।

ফরাসি তরুণীাদের ভাইফোঁটা

ফরাসি তরুণী এডিলে চেডিভিলি, লিউসি গারিয়েন এবং সুইস তরুনী এলিজা এবং জোয়ারি এবার ভাইফোঁটার আনন্দে সামিল। বুধবার সকালে ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে তাঁদের সুখ-সম্বৃদ্ধি কামনা করলেন উলুবেড়িয়া আশা ভবন সেন্টারের আসা এই চার বিদেশি তরুণী।

এদিন উলুবেড়িয়ার আশা ভবন সেন্টারে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের নিয়ে ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল। নতুন শাড়ি পরে পুরোপুরি বাঙালি রমনী সেজে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন এই চার ফ্রেঞ্চ তরণী। পড়াশোনার কাজে তাঁরা ভারতে এসেছেন বলে জানা গিয়েছে।

ভাইফোঁটা ২০২৩ : ভাইয়ের খামতি মেটাতে ২ সাফাইকর্মীকে ফোঁটা! চুঁচুড়ার ‘দিদি’-কে নিয়ে চর্চা
এদিন ওই বিদেশি তরুণীরা সবক্ষেত্রেই অনুসরণ করেছে বাঙালি সংস্কৃতি। ভাইদের কপালে যেমন দিয়েছেন চন্দনের ফোঁটা, তেমনই নিজের হাতে ভাইদের মিষ্টিমুখ করিয়েছেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, এমনকী ধান-দুর্বা দিয়েও ভাইদের আশীর্বাদ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।

কী বলছেন তাঁরা?

ফরাসি তরুণীদের দাবি, ভারতে না আসলে তাঁরা বুঝতেই পারতেন না যে এই দেশের সংস্কৃতি কতটা সম্বৃদ্ধ। কেন সারা বিশ্বের মানুষ এখানে ছুটে আসে। এডিলে চেডিভিলি বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি যে একটা সুন্দর, এই দেশে না এলে তা বুঝতেই পারতাম না। সত্যিই এখন বুঝতে পেরেছি কেন গোট বিশ্ব ভারতে দেখার জন্য ছুটে আসে। আমরাও পড়াশোনার কাজে এই দেশে এসেছিলেন। বিভিন্ন উৎসবে এদেশে সংস্কৃতি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি। খুবই ভালো লাগছে।’

হোম সুপারিটেন্ডেন্ট অরুণিমা দাস বলেন, ‘ এরা কেউ স্পেশাল এডুকেটর আবার কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। বেশ কয়েকমাস ধরে তারা আশা ভবন সেন্টারে রয়েছেন। তবে এই প্রথম এইরকম সংস্কৃতির সঙ্গে ওঁরা যুক্ত হলেন। এর আগে দুর্গা পুজোর সময় পুজোর জোগান দেওয়া থেকে শুরু করে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া, সবটাই এরা করেছেন। এমনকী দুর্গাপুজোর কার্নিভ্যালেও ওঁরা অংশ নিয়েছিলেন। এবার ভাইফোঁটা অংশ নিলেন। আমরা খুবই খুশি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version