এই সময়, শান্তিনিকেতন: তিনি প্রাক্তন। সাত দিন আগেই শেষ হয়েছে তাঁর চাকরির মেয়াদ। কিন্তু এখনও সরকারি বাংলো ছাড়েননি বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ব্যবহার করছেন সমস্ত সরকারি সুবিধা। যা নিয়ে নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন তিনি। এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে অধ্যাপক সংগঠন। যদিও বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বিদ্যুৎবাবু মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

আশ্রমিকদের সঙ্গে তাঁর বিরোধ সর্বজনবিদিত। বরাবর বিতর্কের কেন্দ্রেই থেকেছেন তিনি। অবসর গ্রহণের পর সাত দিন কেটে গেলেও বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখনও রয়েছেন শান্তিনিকেতনের ‘পূর্বিতা’য়। সেটি সরকারি ভাবে উপাচার্যের বাসভবন। শুধু বাংলোই নয়, ব্যবহার করছেন উপাচার্যের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও। আর এই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাক্তন উপাচার্যের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়মিত বৈঠক এবং দেখা করতে যাওয়ায় তাপ বাড়ছে শান্তিনিকেতনে। তবে এ নিয়ে বিশ্বভারতীর তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। কিছু বলেননি বিদ্যুৎবাবু নিজেও।

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও অধ্যাপকদের একাংশের দাবি, প্রাক্তন উপাচার্য পায়ে পা লাগিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও বিবাদ লাগানোর চেষ্টা করছেন কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের দিয়ে। তাঁদের সঙ্গেই পূর্বিতায় বৈঠক ও দেখা করা চলছে নিয়মিত। অধ্যাপক সংগঠন অবশ্য পূর্বেই প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ কেন সরকারি বাংলোয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বর্তমান উপাচার্যকে ই-মেলে অভিযোগ করেছেন। অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্বভারতীর ১০ জনের বেশি নিরাপত্তারক্ষী থেকে সমস্ত ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রাক্তন উপাচার্য নিয়ে চলছেন। যা সম্পূর্ণ নজিরবিহীন এবং বেআইনি দখলদারি।’

সম্প্রতি পাঁচটি মামলায় প্রাক্তন উপাচার্যকে তলব করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন গ্রেপ্তারির মতো কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুধু একেকটি মামলার জন্য এক ঘণ্টা করে প্রাক্তন উপাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। ১৪ নভেম্বরের পরিবর্তে ২০ এবং ২২ নভেম্বর বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই যুক্তি দিয়েই বাসভবনে বেশ কিছুদিন প্রাক্তন উপাচার্য থাকবেন বলেই শোনা যাচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version