জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি কোথাও ‘সুব্রহ্মণ্যম’ কোথাও ‘মুরুগান’! তিনি বাঙালির বড় প্রিয় কার্তিক ঠাকুর হ্যাংলা। এহেন কার্তিকঠাকুরকে নিয়ে যথেষ্ট মজাও করা হয়। তবে তাঁকে নিয়ে যত মজাই করা হোক কার্তিকের পুরাণেতিহাস খুবই চিত্তাকর্ষক। যথেষ্ট কুলীন দেবতা তিনি। তবে কার্তিক বৈদিক দেবতা নন; তিনি পৌরাণিক দেবতা।  

কী ভাবে জন্ম

আরও পড়ুন: Govardhan Puja: কী এই গোবর্ধন পুজো? জেনে নিন দিনটির বিশেষ তাৎপর্য…

কার্তিকের জন্ম নিয়ে নানা কাহিনি আছে। একটি কাহিনিতে শোনা যায়, একদা শিব ও পার্বতীর মিলনে এক জ্যোতিঃপিণ্ড তৈরি হল। রতির অভিশাপের জেরে গর্ভে সন্তান ধারণ করতে পারেননি পার্বতী। এদিকে অগ্নিদেব সেই তেজোময় জ্যোতিঃপিণ্ডটি নিয়ে পালিয়ে গেলেন। ব্যাপারটি পরে জানতে পেরে পার্বতী ভয়ানক রেগে গেলেন। 

যদিও ওটা চুরি করে নিয়ে গিয়ে স্বয়ং অগ্নিদেবই সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। ওই অগ্নিপিণ্ডটির তাপ তিনি সহ্য করতে পারলেন না। না পেরে সেটি গঙ্গায় নিক্ষেপ করলেন। সেই তেজোরাশি তখন গঙ্গা দ্বারা বাহিত হয়ে অপূর্ব রূপবান এক শিশুর জন্ম দিল। জন্মের পর অপূর্ব ওই কুমারকে ছয় কৃত্তিকা (কৃত্তিকা নক্ষত্রের মোট সংখ্যা ৭) স্তন্যপান করালেন। তাই এই কুমার ‘কার্তিক’ নামে অভিহিত হলেন। পরে পার্বতী এই শিশুকে কৈলাসে নিয়ে আসেন।

আরও পড়ুন: ধনতেরসের আগে বিরাট সুখবর! সপ্তাহের শুরুতেই কমল সোনার দাম…

কার্তিকেয় বা কার্তিক আসলে যুদ্ধদেবতা। দেবসেনাপতি তিনি। দৈবনির্দেশ ছিল, তারকাসুর বধের জন্যই তাঁর জন্ম। যদিও প্রাচীন ভারতে প্রায় সর্বত্রই কার্তিক পুজোর প্রচলন ছিল। কার্তিক একাধিক নামে অভিহিত– কৃত্তিকাসুত, আম্বিকেয়, স্কন্দ, শিখিধ্বজ, অগ্নিজ, শরজ, তারকারি, শক্তিপাণি, বিশাখ, ষড়ানন, ষন্মাতুর, কুমার, সৌরসেন, গৌরীসুত, আগ্নিক ইত্যাদি। তামিল ও মালয়ালম ভাষায় কার্তিক ‘মুরুগান’ বা ‘ময়ূরী স্কন্দস্বামী’ নামে এবং কন্নড় ও তেলুগু ভাষায় ‘সুব্রহ্মণ্যম’ নামেও পরিচিত।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version