এই সময়, বালি: মঙ্গলবার দিনভর নাটক চলার পর জেলেই ঠাঁই হলো বালিতে পুলিশ নিগ্রহে অভিযুক্ত হাওড়া আদালতের আইনজীবীর। গত রবিবার কালীপুজোর রাতে বালির শ্রীচরণ সরণিতে জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হয়েছিলেন বালি থানার এক এএসআই ও এক হোমগার্ড। তাঁরা দু’জনে এখনও হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেই ঘটনায় পুলিশ আইনজীবী বিকাশ সিং-সহ মোট ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে বাকিদের জামিন হলেও বিকাশ ও তাঁর অন্য এক সঙ্গীর জামিন খারিজ হয়। বিকাশ নিজেকে অসুস্থ দাবি করায় তাঁকেও হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিকে, বিকাশের সমস্ত রকম শারীরিক পরীক্ষার পরও অসুস্থতার তেমন কোনও লক্ষণ না মেলায় মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকেও হাওড়া সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সংশোধনাগারে বিকাশ ফের অসুস্থতার কথা জানানোয় তাঁকে ফের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। এ দিকে, বিকাশের পক্ষের আইনজীবীদের কেউ কেউ হাসপাতালে পুলিশের জোর খাটানোর অভিযোগ তুললেও তা মানেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ দিকে, বিকাশের সমস্ত রকম শারীরিক পরীক্ষার পরও অসুস্থতার তেমন কোনও লক্ষণ না মেলায় মঙ্গলবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকেও হাওড়া সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। সংশোধনাগারে বিকাশ ফের অসুস্থতার কথা জানানোয় তাঁকে ফের হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি সুস্থ আছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান। এ দিকে, বিকাশের পক্ষের আইনজীবীদের কেউ কেউ হাসপাতালে পুলিশের জোর খাটানোর অভিযোগ তুললেও তা মানেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তাঁদের অভিযোগ, বালি থানায় বিকাশের ওপর শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছিল। যদিও বালি থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে জয়সওয়াল হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। হাসপাতাল থেকে তিনি সুস্থই ছিলেন বলে রিপোর্ট দেওয়া হয়। বারবার অসুস্থতার কথা বলে বিকাশ সংশোধনাগার এড়াতে চাইছেন বলে প্রশ্ন উঠেছে। আইনজীবীদের অনেকের বক্তব্য, আদালতের মাধ্যমে বালি থানা থেকে লকআপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে ধৃতের ওপর পুলিশ নিগ্রহ করেছিল কি না, তা স্পষ্ট জানা যেতে পারে।