মেয়েদের পড়াতে আসতেন ১৯ বছরের যুবক। আর তাঁকে দেখেই প্রেমে হাবুডুবু খান দুই কন্যার মা। তাঁকে ভালোবেসে সংসার ছেড়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বধূ। কয়েকদিন তারাপীঠে সংসার করার পর ওই যুবক বেপাত্তা হয়ে যান। এবার নিজেকে তাঁর স্ত্রী দাবি করে ওই যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলেন‌ ওই গৃহবধূ।

জানা গিয়েছে, মেয়েদের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই গোপন প্রেম কয়েক মাস চলার পরেই এই গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে তালাক দিয়ে শিক্ষক যুবককের সঙ্গে ঘর ছাড়েন। বীরভূমের তারাপীঠে বেশ কিছুদিন সংসার করেন তাঁরা। কিন্তু, দু’দিন আগে সেখান থেকে বেপাত্তা হয়ে যান ওই যুবক। এরপর বৃহস্পতিবার ওই যুবকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন যুবতী।

ঠিক কী দাবি করেছেন ওই যুবতী?
তিনি বলেন, ‘আমাকে ২২-২৫ দিন আগে নিয়ে গিয়েছিল ও। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে ওকে বিয়ে করি। আমাদের এক বছরের সম্পর্ক। ও আমার মেয়েদের পড়াতে আসত। সেই থেকে প্রেম। কিন্তু, ওর বাবা এবং পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ওকে বেঁধে রাখত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ২২-২৫ দিন আগে ও নিয়ে গিয়েছিল। আমার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। পরে ওকে বিয়ে করি। আমাদের এক বছরের সম্পর্ক। ও আমার মেয়েদের পড়াতে আসত। সেই থেকে প্রেম। কিন্তু, ওর বাবা এবং পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। ওকে বেঁধে রাখত। একদিন টিউশন পড়তে বেরিয়ে আমাকে ফোন করে ও ডাকে। এরপর আমরা কান্দিতে দেখা করি। সেখানে আমাকে ও বলে কোনও একটা সিদ্ধান্ত নিতে। আমার দুজন দুজনকে ছাড়া থাকতে পারব না বলেছিলাম।’

গৃহবধূ দাবি করেন, ‘এরপর ও আমাকে বলেছিল স্বামীকে ডিভোর্স দিতে। আমি তাও দিয়েছিলাম। এরপর আমরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করি। কয়েকদিন আগে ও বাবার সঙ্গে কথা বলেছিল। তারপর কী হল জানি না। ও ছেড়ে চলে গেল। আমার এ কুলও গেল ও কুলও গেল। আমাকে বললে তো নিজেই চলে যেতাম। আমাকে মাংস কিনে দিয়েছিল রান্না করার জন্য। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে আর ফিরে আসেনি। ওর বাড়ির লোকরা বললে তারা জানে না। আমি লুকিয়ে রেখেছি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ এদিকে প্রতিবেশীরা অবশ্য ওই মহিলাকেই দুষছেন। তাঁদের কথায়, ‘ছেলে তো নাবালক। বাবা মা জানেন না ছেলে কোথায় গেছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version