মৌপিয়ার শিল্পীসত্ত্বা নিয়ে চর্চা
করোনার লকডাউনের সময় থেকে হাতেখড়ি মৌপিয়ার। সেই সময় তার বয়স আরও কম। সেই সময় দুর্গা ঠাকুর তৈরির জন্য বাবাকে সাহায্য করত মৌপিয়া। সেই কিশোরীই এখন বাবার সব থেকে ‘হেল্পিং হ্যান্ড’। শুক্রবার জগদ্ধাত্রী পুজোর চতুর্থী। সেই কারণে দম ফেলার ফুরসত নেই বাপ-বেটির। বাবা প্রতিমার সাজসজ্জা থেকে শাড়ি পরানো, সব কাজ করছেন। আর মেয়ের তুলির টানে জেগে উঠছে প্রতিমার ত্রিনয়ন।
এবার ৪০টি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বরাত পেয়েছেন বাবা-মেয়ে। আর একসঙ্গেই মূর্তি তৈরির কাজ করছেন তাঁরা। মেয়ের এই কাজে খুশি বাবা মুক্তিও। আগামী দিনে মেয়েকে আর্ট কলেজে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবা। মেয়ে আগামী দিনে বড় শিল্প হন, বাবা এখন মনে প্রাণে এটাই চান।
কী বলছেন বাবা ও মেয়ে
মু্ক্তি পাল বলেন, ‘এবছর ৪০ টি জগদ্ধাত্রী প্রতিমার বরাত পেয়েছি। এর মধ্যে চন্দননগরের ২০টি প্রতিমা রয়েছে। আমার মেয়ে ১০টি প্রতিমার চক্ষুদান করেছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী প্রতিমার মুখের সৌন্দর্য অন্যতম আকর্ষণ। আমার মেয়ে আগামী দিনে শিল্পকে পেশা করতে চায়। ঝোঁক দেখে মেয়েকে আর্ট কলেজে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার ছেলে রয়েছে, কিন্তু তার এই পেশায় কোনও আগ্রহ নেই। চন্দননগরের গরবাটিতে রয়েছে আমাদের স্টুডিয়ো।’
মৌপিয়া বলেন, ‘প্রতিমার চোখই সবার আগে নজর কাড়ে। সেই মুখ সজ্জার দায়িত্ব পালন করতে খারাপ লাগে না। বাবার কাছেই এই কাজ শিখেছি প্রথমে একটু সমস্যা হত। তবে এখন ধীরে ধীরে অনেটা ভালো করেই আঁকতে শিখেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের চক্ষুদানের কাজ করি। ভবিষ্যতে এটাকেই পেশা হিসেবে ভেবে নিয়ে বেছে নিতে চাই। সেই কারণে আর্ট কলেজে পড়ব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’