২০০৯ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের নিয়োগের দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা ডিপিএসসি অফিসের সামনে নিজেদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।

প্রার্থীরা ডিপিএসসি অফিসের সামনে নিজেদের নিয়োগের দাবি জানিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করে। চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ, ২০০৯ এর প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ১৮৩৪ জনের প্যানেলের মধ্যে ১৫০৬ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ৩২৮ জন চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ পাননি। তাই নিজেদের চাকরির দাবিতে ডিপিএসসি অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রার্থীরা।

চাকরিপ্রার্থীরা জানান, ১৪ বছর অতিক্রান্ত। অবিলম্বে তাঁদের চাকরি দিতে হবে। না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপিএসসি অফিসের সামনে ধর্নায় বসবেন তাঁরা। অন্যদিকে, ডিপিএসসি চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, ‘ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দেবেন সেই মোতাবেক কাজ করব। কিন্তু, ১৮৩৪ প্যানেলের ১৫০৬ জনের নিয়োগের পর বাকি যে সংখ্যা রয়েছে তা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতে নির্দেশ এলেই পদক্ষেপ করা হবে।’

এই প্রসঙ্গে চাকরিপ্রার্থী অন্বেষা মৃধা বলেন, “আমরা বারবার এখানে এসেছি। কিন্তু, কোনও সদুত্তোর পায়নি। আমরা ধরনাও দিয়েছিলেন। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছিল পদক্ষেপ করার। আর সেই জন্য আমরা ধরনা সরিয়ে নিয়েছিলাম। মামলাটি আদালতে চলছে। তারিখের পর তারিখ পেরিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বাকি প্যানেলটা রয়েছে তা বার করা হোক। এক্ষেত্রে কোর্টের কোনও স্টে অর্ডার নেই। আমাদের বলা হচ্ছে ১৭ জনের ডকুমেন্টস পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু, তাঁদের ডকুমেন্টস যদি বছরের পর বছর না পাওয়া যায় তাহলে কি আমরা অপেক্ষা করব! এটা চেয়ারম্যানের গাফিলত।’

Manik Bhattacharya : সুপ্রিম কোর্টের কাছে নালিশ জানিয়েও হল না শেষরক্ষা, হাইকোর্টে ফের খারিজ মানিকের জামিনের আর্জি
এই প্রসঙ্গে অজিত নায়েক বলেন, “১৫০৬ জন নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছে। বাকিদের কনভার্টেড প্যানেল বিভাগে জমা দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি হাইকোর্টে বিচারাধীন। আমাদের সহানুভূতি রয়েছে ওদের প্রতি। আদালত যা নির্দেশ রয়েছে সেই মোতাবেক কাজ করব।”

১৮ জনের নথি পাওয়া যাচ্ছে না বলে চাকরি হচ্ছে না এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অজিতবাবু জানান, এই দাবি একেবারে সঠিক নয়। চাকরিপ্রার্থীদেরই কেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাই তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে বেশ ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version