বিজেপির অন্দরে এ হেন রাজনৈতিক আবহে শুক্রবার সকালে দিল্লি উড়ে গিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। সুকান্তর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ওই কর্মসূচিতে আসার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। এদিন দিল্লি যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘সাধু-সন্তদের প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাচ্ছি। ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে এক লক্ষ মানুষ গীতাপাঠ করবেন। বাংলার সাধু-সন্তরা চাইছেন সেখানে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকুন। তাই আমি ওঁদের সঙ্গে মোদীজিকে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লি যাচ্ছি।’
ব্রিগেডে এক লক্ষ মানুষের গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের আগে ধর্মতলায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির কর্মসূচি রয়েছে। সেখানে সুকান্ত-শুভেন্দুদের এক লক্ষ মানুষের জমায়েতের টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছে দিল্লি থেকে। হাতে আর মাত্র এগারো দিন সময়। এত অল্প সময়ে কী ভাবে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে ঘোর সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। এর মধ্যে সুকান্তর সাধু-সন্তদের জন্য দিল্লি উড়ে যাওয়া ভালো চোখে দেখছে না দলেরই একাংশ।
রাজ্য বিজেপির এক প্রথম সারির নেতার কথায়, ‘তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে যাঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা পাননি, এমন অনেকের সঙ্গে এখনও আমরা যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। অথচ তাঁদের সামনের সারিতে রেখেই ২৯ তারিখ ধর্মতলায় আমাদের অবস্থান করার কথা। এই অবস্থায় সুকান্তবাবু দিল্লি না গেলেই পারতেন।’ প্রসঙ্গত, বিজেপি চাইছে ওইদিন ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে। সেই মতো কলকাতা পুলিশের কাছে অনুমতিও চাওয়া হয়েছে। অনুমতি না মিললে আদালতের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শুভেন্দুদের।