অভিযোগ জমা পড়লেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয় পুলিশ। আর এই সক্রিয়তায় পুলিশর উপর ভরসা বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এবার সাইবার ক্রাইমের মোকাবিলা করে সাফল্যের দৃশ্য দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাইবার ক্রাইম থানায়। গত এপ্রিল মাসে ভাস্কর পাণ্ডে নামে এক যুবক ফেসবুকে বাড়িতে বসে পার্ট টাইম কাজের বিজ্ঞাপন ফেসবুকে দেখতে চান। আর সেখানেই তিনি এক জালিয়াতি চক্রের খপ্পরে পড়েন। তারা ভাস্করকে টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করেন।
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিয়ো লিঙ্ক লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট করে টাকা উপার্জনের টোপ দেয় প্রতারকরা। সেই ফাঁদে পা দিয়ে ভাস্কর প্রতারিত হন। তিনি হারান প্রায় দু’লাখ বিয়াল্লিশ হাজার টাকা । এরপরেই থানার দ্বারস্থ হন তিনি। তদন্তে নেমে পূর্ব মেদিনীপুর সাইবার ক্রাইম থানার আধিকারিক সৌরভ মিত্রের চেষ্টায় প্রায় পুরো টাকাই আদায় হয়। আদালতের নির্দেশে ভাস্কর পান্ডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ ফেরত দিয়েছে পুলিশ।
প্রতারিত হওয়া টাকা ফেরত পেয়ে ভাস্কর পান্ডে বেজায় খুশি। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই সেই অর্থ পেয়ে খুশি ভাস্কর পাণ্ডে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য বিভিন্নভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তার পরেও কিছু মানুষ লোভে পড়ে তাদের টাকা হারাচ্ছেন। প্রতারিতদের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। সন্দেহ হলে বা প্রতারিত হলে আগে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই মুহূর্তে অত্যন্ত সচেষ্ট। ফলে তাদের সাহায্যে বহু মানুষ প্রতারিত হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। এর আগে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। তাঁরা অনেকেই সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এই ঘটনায় ভরসা পাচ্ছেন সেই সমস্ত মানুষরা। প্রসঙ্গত, সাইবার ক্রাইম নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে।