কী ঘটনা?
পুলিশ ও বিমানবন্দর সূত্রে খবর, রবিবার দুপুরে দিল্লি যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন এডিজি প্রভিশানিং পদে কর্মরত আইপিএস অফিসার অনির্বাণ রায়। অভিযোগ কলকাতা বিমানবন্দরে ভিতরে কর্তব্যরত এনএসসিবিআই এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন তিনি। এমনকী কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কটূক্তি করার অভিযোগ উঠেছে ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বচসার পর অতিরিক্ত লাগেজ লাউঞ্জে নিয়ে যাওয়া নিয়ে কর্তব্যরত বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গেও তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। কর্তব্যরত বিমান সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে তিনি দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, সঙ্গে নিয়ে আসা অতিরিক্তি লাগেজের জন্য তিনি নির্ধারিত ফি দিতে রাজি হননি।
খবর যায় পুলিশের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুলিশের পক্ষ থেকে এডিজিকে বিমান বন্দরের ভেতর থেকে বাইরে বের করে আনা হয়। তাঁকে আটক করা না হলেও তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীকালে এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের তরফেও থানায় ডিজির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও এই নিয়ে অভিযুক্ত আইপিএস অফিসারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বিমানবন্দরে উত্তেজনা
কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাতায়াত করেন। ররিবার দুপুরে একাধিকবার চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হতে বিমানবন্দরের যাত্রীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অনেকে যাত্রী ওই আইপিএস অফিসারকে প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়াতে দেখেন। একজন সিনিয়র আইপিএস অফিসারের এমন আচরণ অনভিপ্রেত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা।
বিমানবন্দেরর এক যাত্রী বলেন, ‘সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেই পুলিশকর্মীরা দিন রাত এক করে এখানে ডিউটি করেন। কেউ কোনও উচ্চপদে চাকরি করতে পারেন, তার মানে তিনি বাকিদের থেকে কোনওভাবেই আলাদা হয়ে যান না। আইপিএস অফিসার হয়ে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করাটা মোটেই সঠিক কাজ হয়নি। এই ধরের কাজ করা কখনই উচিত নয়।’