জয়গাঁ সহ ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নের জন্য উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। পাহাড়ি এলাকায় ধসের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, রাস্তাঘাট, নিকাশির ব্যবস্থার উন্নয়নে ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি এলাকায় খুব শীঘ্রই এই উন্নত সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

কী জানা যাচ্ছে?

জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা উন্নয়নের জন্য রাজ্যের কাছে আগেই প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। মূলত, জেডিএভুক্ত জয়গাঁ-১, ২ ও দলসিংপাড়া তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন মূলক একাধিক কাজ করা হবে। যার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ১৪ কোটি টাকা অর্থব্যয়ের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা, ধসপ্রবণ এলাকায় একাধিক উন্নয়ন মূলক কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে অর্থ বরাদ্দ হওয়ায় পরেই এই কাজের টেন্ডার ডাকা হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্ভর টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে বলে জানা গিয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

কী ধরনের কাজ?

জানা গিয়েছে, জেডিএ’র অন্তর্গত মোট তিনটি পঞ্চায়েত এলাকায় এই কাজ করা হবে। তিনটি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে মোট ১৭টি স্কিমে কাজ করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে নিকাশিনালা তৈরি ও সংস্কার, রাস্তাঘাট সংস্কারের মতো কাজ। ভক্ত চৌপথি, ভুলন চৌপথি তোর্সা চা বাগান, স্টেশন লাইন ও দিগবীর লাইন, খোকলাবস্তি, বড় মেচিয়াবস্তি, ছোট মেচিয়াবস্তি, তড়িবাড়ি এলাকায় কাজ সম্পন্ন করা হবে। রাস্তাঘাট সারাইয়ের ব্যাপারে পিচের রাস্তা তৈরিতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সৌন্দর্যায়নের অঙ্গ হিসেবে দলসিংপাড়া হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা তৈরিরও স্কিম ধরা হয়েছে এই কাজের আওতায়।

Kanchenjunga : শীত পড়ার আগেই খিলখিলিয়ে হাসি পাহাড়ের, সমতলেই টুকি দিল কাঞ্চনজঙ্ঘা
উল্লেখ্য, চলতি বছরই সিকিম ধসের কারণে উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনই, ভুটান পাহাড়ের ধসের কারণে জয়গাঁ সহ ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতি বছরই প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেই কারণে তোর্সা ও হাসিমারা ঝোরার ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ও পাড় উন্নয়ন এবং একাধিক জায়গায় গার্ডওয়াল তৈরি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার আসলেই ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া জোর গতিতে বলে জানা গিয়েছে। কাজ যাতে দ্রুত হয় সে ব্যাপারেই আশাবাদী স্থানীয় বাসিন্দারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version