নবান্ন সূত্রে খবর, এক হাজার বন সেবকের পদ তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিগত বছরগুলিতে হাতির হানা বা বন্যপ্রাণের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের এই সমস্ত পদগুলিতে নেওয়া হবে। ২০১২-১৩ সাল থেকে অনেকেই এই ব্যবস্থায় চাকরি পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার রাজ্য সরকার এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে বলেই জানা গিয়েছে। যদিও এখনও এই নিয়ে অনেক প্রক্রিয়া বাকি রয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, ‘ নিয়োগের বিষয় নিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন। আগে এরকম ক্ষেত্রে পুলিশে নিয়োগ হত। আমি মন্ত্রিসভায় আসার পর প্রথম থেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলাম, এরকম ক্ষেত্রে পরিবারের একজনকে বন বা বন্যপ্রাণ রক্ষার কাজে লাগানো যেতে পারে। কারণ, জঙ্গল এই মানুষগুলির থেকে ভালো কেউ চেনে না। ফলে এ ধরনের কাজে তাঁরা অনেকটাই সাহায্য করতে পারবেন।’
হাতি-মানুষ সংঘাতের মধ্যে পড়ে উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতি বছরই দলমার হাতির পালের দাপটে প্রাণহানি, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। নিয়ম অনুযায়ী, হাতির হানায় প্রাণ গেলে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়। পাশাপাশি চাকরিরও সংস্থান আছে। তবে বন দফতরেরই কোনও পদে চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত এই প্রথম।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টেবর মাসে বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ হয়। দু’হাজার শূন্যপদ ছিল সে সময়। বন সহায়ক পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল অষ্টম শ্রেণি পাশ। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগে মাসিক ভাতা ঠিক ১০হাজার টাকা। পরে নিয়োগ হয়। সহায়করা মূলত ফরেস্ট গার্ডদের মতোই বনসুরক্ষার কাজ করেন। কিন্তু পরে এই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
এই পদ অস্থায়ী ঠিক হলেও কত মাইনে হল, কী ভাবে নিয়োগ হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। মন্ত্রী বলেন, ‘ এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে, খুব দ্রুত তা চূড়ান্ত হবে।’