এই সময়, বর্ধমান: দুর্গা ও কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ডিজের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়েছিলেন শহরবাসী। তার পরেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিষ্কার জানানো হয়েছিল, এবার থেকে কড়া হাতে ডিজে নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিশ-প্রশাসন। প্রয়োজনে বাজেয়াপ্তও করা হবে ডিজে। মাসখানেকের ব্যবধানে ছটপুজোর শোভাযাত্রায় সেই একই ছবি ধরা পড়ল।

ভোরের সূর্যপ্রণামের জন্য দামোদরের ঘাটে যাওয়া লরিগুলির পিছনে ও সামনে তারস্বরে বেজেছে বক্স ও ডিজে। একইসঙ্গে ফেটেছে নিষিদ্ধ শব্দবাজিও। তবে এবারে তুলনামূলক কিছুটা কম ফেটেছে শব্দবাজি, এমনটাই দাবি প্রশাসনের। ডিএসপি রাকেশ চৌধুরী বলেন, ‘বাজির দৌরাত্ম্য এবারের ছটে সে ভাবে দেখা যায়নি। কয়েকটি ক্ষেত্রে ডিজে বক্স বেজেছে ঠিকই। তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিন ভোর থেকেই শব্দবাজি ও ডিজে বক্সের আওয়াজে ঘুম উড়েছিল শহরবাসীর। নির্দিষ্ট রুটের মধ্যে দিয়ে সমস্ত গাড়িগুলিকে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছটপুজোর দিন-রাতে পুরো ছবিটাই বদলে গেল। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ভোররাত থেকেই শুরু হয় বাজির তাণ্ডব। একইসঙ্গে শহরের রাস্তা ধরে যাওয়া গাড়িগুলিতে বাজতে থাকে ডিজে বক্স।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এতকিছুর পরেও প্রশাসনের তরফে শব্দ নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক ও পরিবেশবিদ অরূপ চৌধুরী বলেন, ‘শব্দবাজির ভয়ানক প্রভাব আমরা জানি। ডিজের শব্দে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের যেমন অসুবিধা হবে তেমনই সুস্থ মানুষও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। গৃহপালিত পশুদের, বিশেষ করে কুকুর ও অন্যান্য পশুদের মধ্যে বাজির শব্দ একটা ভয় তৈরি করে। গাছ ছেড়ে উড়ে যায় পাখিরা। আদালতের কঠোর নির্দেশের পরেও সচেতনার অভাবে এই অবস্থা। প্রশাসনকে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version