এই সময়: শক্তিপরীক্ষায় পাশ মার্কস জুটবে তো, চিন্তার মেঘ ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে বঙ্গ-বিজেপিতে! তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আগামী ২৯ নভেম্বর ধর্মতলায় মহা-সমাবেশের ডাক দিয়েছে বঙ্গ-বিজেপি। সেখানে হাজির থাকার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। তিনি সেই ডাকে সাড়া দেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সুকান্ত মজুমদাররা দাবি করেছেন, ওই দিন ধর্মতলায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। যা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই। সূত্রের খবর, ২৯ তারিখের কর্মসূচির উপর কড়া নজর রাখছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এ রাজ্যের দলীয় সাংসদরা নিজেদের এলাকা থেকে কত মানুষকে সে দিন ধর্মতলায় নিয়ে আসছেন, দিল্লির নজর থাকছে সেদিকেও। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা থেকে ধর্মতলার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ কেমন, সেটাও খতিয়ে দেখবেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডারা। কোনও কারণে ২৯ তারিখের সভায় কাঙ্ক্ষিত ভিড় না হলে লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচনের মরশুমে রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি-দাওয়ার গুরুত্ব যে দিল্লির কাছে কমবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
এ রাজ্যের দলীয় সাংসদরা নিজেদের এলাকা থেকে কত মানুষকে সে দিন ধর্মতলায় নিয়ে আসছেন, দিল্লির নজর থাকছে সেদিকেও। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা থেকে ধর্মতলার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে উৎসাহ কেমন, সেটাও খতিয়ে দেখবেন জগৎপ্রকাশ নাড্ডারা। কোনও কারণে ২৯ তারিখের সভায় কাঙ্ক্ষিত ভিড় না হলে লোকসভা ভোটের প্রার্থী নির্বাচনের মরশুমে রাজ্য বিজেপি নেতাদের দাবি-দাওয়ার গুরুত্ব যে দিল্লির কাছে কমবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
দলের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বিজেপিরই এক নেতার মন্তব্য, ‘রাজ্যে এমন কোনও জেলা নেই, যেখানে ৮০ শতাংশের বেশি বুথে আমাদের কমিটি আছে। বহু জেলাতেই আমাদের সিংহভাগ মণ্ডল কমিটি নিষ্ক্রিয়। এই অবস্থায় এক লাখের জমায়েত কী ভাবে সম্ভব হবে বুঝতে পারছি না।’ যদিও প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বর দাবি, ২৯ তারিখের সভায় ভিড় দেখে তৃণমূলের স্নায়ুর চাপ বেড়ে যাবে। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের পাল্টা কটাক্ষ, ‘একের পর কতগুলি শূন্য থাকলে এক লাখ হয়, সেটা বাংলার বিজেপি নেতাদের জানা আছে তো? ওঁরা ঠান্ডা ঘরে বসে আকাশ-কুসুম কল্পনা করছেন।’