শ্যামগোপাল রায়
পুর দপ্তরের আওতাধীন সরকারি আবাসনের ভাড়া বাড়তে চলেছে। আবাসনগুলির রক্ষণাবেক্ষণ যাতে ঠিকভাবে হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত বলে দপ্তর সূত্রের খবর। বর্তমানে শহরে বাড়ি ভাড়ার যা পরিমাণ তার তুলনায় সরকারি আবাসনের ভাড়া অনেকটাই কম। সেই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আবাসনের ভাড়া কত হওয়া উচিত, পুর দপ্তরের তরফ থেকে তার তালিকা মাস তিনেক আগেই তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই তালিকা তৈরি হলেও কবে থেকে এই নতুন ভাড়া কার্যকর হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

পুর দপ্তরের এক কর্তা মঙ্গলবার জানান, মূলত সরকারি কর্মীদের জন্যই এই আবাসন। কিন্তু, ভাড়া কম হওয়ার কারণে অনেকেই চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরেও আবাসন ছেড়ে যেতে চান না। ফলে ভাড়া বাড়ালে তাঁরা ঘর ছেড়ে দেবেন। আর ভাড়া বাবদ আয় বাড়ার ফলে রক্ষণাবেক্ষণও ভালো হবে। পুর দপ্তরের ৫টি আবাসন রয়েছে সল্টলেকে। এগুলি হলো, বৈশাখী, ফাল্গুনী, বিচিত্রা, শ্রাবণী এবং বনশ্রী। প্রতিটি আবাসনে আয়তনের ভিত্তিতে ৫ টাইপের ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে ডি টাইপ ফ্ল্যাটের আয়তন ৫৭০ বর্গফুট। ভাড়া ১২০০ টাকা। এস টাইপ ফ্ল্যাটের আয়তন ১৩০০ বর্গফুট। অথচ ভাড়া মাত্র ৪ হাজার টাকা।

দীর্ঘদিন ধরে পুর দপ্তরের আবাসনগুলির বেহাল দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা সংস্কারের দাবি তুলছেন। মেরামতের আর্জি জানিয়ে চিঠিও দিয়েছেন। অভিযোগ, তবুও ঘরগুলি সারাই করা হয়নি। পুর দপ্তরের কর্তাদের বক্তব্য, সল্টলেকের মতো এলাকায় ৫৭০ বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাটের ভাড়া ১০-১২ হাজার টাকা। ফলে, মেরামত করার জন্য ভাড়া বাড়ানো জরুরি। বৈশাখী আবাসনের সভাপতি রাধাগোবিন্দ শীলের বক্তব্য,’আবাসন ঠিকভাবে মেরামত হলে বেশি ভাড়া দিতে আমাদের আপত্তি নেই।’ ফাল্গুনী আবাসনের বাসিন্দা তন্ময় সেন বলেন,’অস্বীকার করার জায়গা নেই যে ফ্ল্যাটের ভাড়ার পরিমাণ খুবই কম। তবে শুধু ভাড়া বাড়লেই হবে না। রক্ষণাবেক্ষণও হওয়া প্রয়োজন।’

সরকারি সূত্রে খবর, সল্টলেকে বর্তমানে ফ্ল্যাটের ভাড়া কত তা খতিয়ে দেখেই দপ্তরের আধিকারিকরা প্রস্তাবিত ভাড়ার তালিকা, ফ্ল্যাটের আয়তনের তথ্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের অফিসে পাঠিয়েছেন। ওই প্রস্তাবের ভিত্তিতেই জেলাশাসকের দপ্তর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version