কী জানাচ্ছে আদালত?
আগামী ১৮ নভেম্বর পরবর্তী শুনানিতে সিটকে খুনের মামলার তদন্ত নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। বিশেষ করে এ বছর ১০ জুলাই থকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে কী তদন্ত হয়েছে রিপোর্টে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই বলে জানায় আদালত। সেই বিষয়ে জানাতে হবে আগামী দিনে। এখনও কাউকে অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করতে পুলিশ পেরেছে কিনা তাও জানাতে হবে আগামী শুনানিতে।
সিটের তদন্তে ক্ষুব্ধ আদালত
আইআইটি খড়গপুর এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বারংবার প্রশ্ন উঠেছে। তাতে বিরক্ত আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘এতদিন ধরে একটা খুনের তদন্তে অযথা সময় নষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যে তথ্য প্রমাণ লোপাট হতে পারে। এর দায় কে নেবে!’
আইআইটির পড়ুয়ার মৃত্যু
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪ অক্টোবর আইআইটি খড়্গপুরের লালা লাজপত রায় হলের একটি ঘর থেকে এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ফয়জান আহমেদের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইআইটি খড়গপুরে বিটেক মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। অসমের তিনসুকিয়া থেকে ছাত্রের বাবা-মা প্রথমে ছেলের মৃতদেহ নিতে অস্বীকার করে। ছেলেকে খুনের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। এমনকি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং প্রথম ময়নাতদন্তকারী অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তোলেন তাঁরা।
এরপর হাইকোর্ট ফয়জান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর একটি সিট গঠনের নির্দেশ দেয়। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর খুনের ইঙ্গিত মিলেছিল। সেই কারণে পুলিশ আধিকারিক কে জয়রামণের নেতৃত্বে সিট গঠন করে এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি রিপোর্টে জানিয়েছিল, ছাত্রের মাথায় ভারী জিনিস দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। প্রথম ময়নাতদন্তে তার উল্লেখ ছিল না বলে অভিযোগ ছিল এরপরই আদালত দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্তের পর ওই ছাত্রকে খুনের ইঙ্গিত মেলে। তবে এদিনের সিটের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠল।