বলিউডি ছবি থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বাস্তবে দুঃসাহসিক কাণ্ড। পোলবার মদের কারখানায় আয়কর হানার মধ্যেই শ্রীরামপুরে আয়কর হানা। সেই হানা শেষে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সোনা গলানোর দোকানে আয়কর হানা শেষে কাগজপত্র দেখাতে না পারার অজুহাতে আটক সোনা ব্যবসায়ী। পরে তিনি ছাড়া পেতেই ফাঁস হল আসল কাণ্ড। কিন্তু ততক্ষণে দোকান ফাঁকা দোকান। তল্লাশিতে আসা আয়করের টিম বাজেয়াপ্ত করেছে সবকিছু। এদিকে এই আয়কর অভিযান নিয়ে কিছুই জানে না আয়কর দফতর।

আবারও ‘স্পেশাল ২৬’ সিনেমার অনুকরণে বাস্তবেই নকল আয়কর হানা। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর নামে সোনার দোকানে চলল লুঠপাট। ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীরামপুরে। স্পেশাল ২৬ এর কায়দায় সোনা গলানোর দোকানে লুট! আয়কর আধিকারিক পরিচয় দিয়ে শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি সোনা গলানোর দোকানে নকল অভিযান চালায় চারজন। ঠিক যেমন স্পেশাল ২৬ সিনেমায় অক্ষয় কুমার ও অনুপম খেররা করেছিলেন।

মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ হঠাৎ শ্যুট বুট পরে চারজন কুমিরজলা রোডের ওই দোকানে হাজির হয়। প্রত্যেকের গলাতেই আইটি অফিসারের আই কার্ড ঝোলানো ছিল। তারা নিজেদের আয়কর দফতরের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করে।

জানা গিয়েছে, ওই সোনার দোকানের মালিক মহারাষ্ট্রের যুবক অজয়। তার মত আরও কয়েকটি দোকান রয়েছে কুমির জলা রোডে। যারা মূলত সোনা গলানোর কাজ করে। এদিকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সোনার বার দিয়ে যায় গলানোর জন্য। সেই সোনার বার হস্তান্তরের কোনও কাগজ বা নথি থাকে না। সেই সুযোগ নিয়ে অজয়কে ভয় দেখায় আইটি কর্মী বলে পরিচয় দেওয়া প্রতারকরা।

IT Raid: ফের রাজ্যে আয়কর হানা, ভোররাত থেকে পোলবার কারখানায় তল্লাশি
সমস্ত নগদ টাকা ও সোনা নিয়ে যায় নকল আই টি অফিসাররা। যাওয়ার সময় মালিক অজয়কে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় তারা। কিন্ত দিল্লি রোডের কাছে নামিয়ে দিয়ে চলে যায় এবং বলে আয়কর অফিসে যোগাযোগ করতে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ইতিমধ্যেই পুলিশকে জানায় বিষয়টি। আয়করের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানায় এমন কোনও অভিযান তাদের দফতর থেকে হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। আয়কর অফিসার পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা আসলে কারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে সেই অভিযানের ছবি। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে তাদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে। ঘটনায় তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version