জয়নগরে কামদুনির প্রতিবাদীরা
হাইকোর্টের নির্দেশের পর ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে জয়নগরের দোলুয়াখাকি গ্রামে যান কামদুনির প্রতিবাদী দুই মুখ মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। প্রসঙ্গত, জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলুয়াখাকি গ্রাম। এরপর দোলুয়াখাকি গ্রামের একাধিক বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ ও অশান্তির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কের পর জনশূন্য হয়ে পড়ে সম্পূর্ণ গ্রাম। গ্রামের মহিলারা আশ্রয় নেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগরের দক্ষিণ বারাসাতের সিপিএমের দলীয় কার্যালয়।
ত্রাণ পৌঁছচ্ছে গ্রামে
সিপিএমের দলীয় কার্যালয় দু’দিন থাকার পর পুলিশের সাহায্যে গ্রামের ফেরে গ্রামের মহিলারা। গ্রামের ফিরেও আগুনের গ্রাসে বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবারগুলি। এই ঘটনার পর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা ওই গ্রামে পৌঁছলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। এরপর অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিপিএম। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মঙ্গলবার থেকে গ্রামে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে পৌঁছেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা।
গ্রামে মৌসুমী-টুম্পা
বুধবার বিকেলে, ঘরপোড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ওই ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে পৌঁছল কামদুনির প্রতিবাদী দুই মুখ মৌসুমী ও টুম্পা কয়াল। গ্রামে ঢুকে ঘরপোড়া মানুষদের অসহায় অবস্থা দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৌসুমী কয়াল। অসহায় মানুষদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেয় তারা। গ্রামে ঢোকার আগে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয় কামদুনির প্রতিবাদী দুই মুখও। বেশ কিছুক্ষণ বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলার পর শর্ত সাপেক্ষে গ্রামের ত্রাণ নিয়ে ঢোকেন মৌসুমী ও টুম্পা।
কী বললেন তাঁরা?
গ্রামের মানুষদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। এরপর মৌসুমী কয়লা বলেন, ‘পুরোগ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা যৎসামান্য ত্রাণ নিয়ে এসেছি। আমরা সাধারণ মানুষ আমরা কোন রাজনীতি করতে এ গ্রামে আসেনি। আমরা আবারও আসব। অসহায় মানুষদের পাশে আমরা দাঁড়াব।’ তাঁদের দাবি, এটা কোনও ছোট ঘটনা নয়, এইটা অনেক বড় ঘটনা। একটা খুনকে কেন্দ্র করে শুধুমাত্র সন্দেহর বশে গোটা গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। শীতের সময় গ্রামের মহিলা শিশুরা কী অসহায় অবস্থায় রয়েছে। তবে তাঁদের কথায়, গ্রামে আমরা রাজনীতি করতে আসবো না।