এই সময়, শিলিগুড়ি: চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে দুই চিকিৎসককে শুধু সাসপেন্ড নয়, হাসপাতাল সুপারকেও বদলি করে দিল স্বাস্থ্য দপ্তর। ঘটনাটি ঘটেছে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালে। সাসপেন্ড হওয়া ওই দুই চিকিৎসকের নাম শশাঙ্ক গুপ্তা, ইয়ুকদেন ভুটিয়া। গত মঙ্গলবার জেলা হাসপাতালে বিজনবাড়ি ব্লকের লিনকন গ্রামের বাসিন্দা সীতা ছেত্রী (৩৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স দিতে পর্যন্ত অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ। সন্তান প্রসবের জন্য তিনি হাসপাতালে গত সোমবার ভর্তি হয়েছিলেন।

অভিযোগ, প্রসবের ক্ষেত্রে গাফিলতি হওয়ায় প্রথমে গর্ভস্থ সন্তান মারা যায়। পরে ওই মহিলারও মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ছুটে আসতে বাধ্য হন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসি প্রামাণিক-সহ জিটিএ কর্তারা। বিক্ষোভে সামিল হন জেলা হাসপাতালের সাফাই কর্মীরাও। তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতাল সাফ করার ঝাড়ু পর্যন্ত সরবরাহ করা হয় না। শেষ পর্যন্ত রাতে ওই দুই চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়। হাসপাতালের সুপারকেও বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।

এই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না-হয় সেজন্য জিটিএর পক্ষ থেকে জেলা হাসপাতালে একটি হেল্প ডেস্ক চালু করা হচ্ছে। জিটিএর ডেপুটি চেয়ারম্যান রাজেশ চৌহ্বান বলেন, ‘হেল্প ডেস্কের কাজই হবে রোগীর পরিজনকে অভাব ও অভিযোগের কথা শোনা এবং সেই মতো স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।’ গত এক দশকে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামো অনেকটাই আধুনিক হয়েছে।

কিন্তু বাসিন্দাদের অভিযোগ, পরিষেবার মানের কোনও উন্নতি হয়নি। এখনও রাতে অ্যাম্বুল্যান্স মেলে না। কর্মীদের প্রশিক্ষণ না-থাকায় পরিষেবার মানের কোনও উন্নতি হচ্ছে না। জিটিএ কর্তাদের বহু বার বলার পরেও কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। জিটিএর স্বাস্থ্য বিভাগের সভাসদ অরুণ সিঙচিও অভিযোগ করেন, ‘জেলা হাসপাতালে ন’জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। অধিকাংশই হয় ছুটিতে থাকেন। না-হলে কলকাতা কিংবা শিলিগুড়িতে ব্যস্ত থাকেন। এরকমটা আর চলবে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version