মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, উলটো রথের পর যখন বড় মদনমোহন মাসির বাড়ি থেকে মদনমোহন বাড়িতে ফিরে আসে সেসময় শয়নে যান ছোট মদনমোহন। চারমাস ঘুমিয়ে থাকার পর এদিন ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ঘুম থেকে ওঠার পর চলে স্নানের পর্ব, তারপর অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পুজো ।
রবিবার রাস উৎসবের দিন বড় মদনমোহনকে মন্দিরের বাইরে নিয়ে আসা হবে। সেসময় মূল মদনমোহন মন্দিরে ছোট মদনমোহনের পুজো হবে। কোচবিহারের রাজাদের আরাধ্য দেবতা মদনমোহন। রাজা না থাকলেও দেবত্র ত্রাস্টের অধীনে এই পুজো হয়ে থাকে। যে কোনও শুভ কাজ শুরুর আগেই বাসিন্দারা এখানে পুজো দিয়ে শুভকাজ শুরু করেন। তবে এখানে বড় ও ছোট মদনমোহন রয়েছে। সারা বছরই বড় মদনমোহনের নিত্যপুজো হয়। কিন্তু, যখন বড় মদনমোহন রথযাত্রা কিংবা রাস উৎসবের সময় মূল মন্দিরের বাইরে বের হন, তখন ছোট মদনমোহনের পুজো হয়।
রবিবার রাসপূর্ণিমার দিন মূল মন্দিরের বাইরে বের হবেন বড় মদনমোহন। রাস উৎসব চলাকালীন এই ১৫ দিন মূল মন্দিরের বাইরে থাকবেন বড় মদনমোহন। রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে জোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে কোচবিহারে।
কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরের পুরোহিত সুকুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘উলটো রথের পর যখন বড় মদনমোহন মাসির বাড়ি থেকে মদনমোহন বাড়িতে ফিরে আসে সেসময় শয়নে যান ছোট মদনমোহন। চারমাস ঘুমিয়ে থাকার পর এদিন ঘুম থেকে ওঠে। এরপর স্নান ও বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়।’ আগামীতে বড় মদনমোহন মন্দিরের বাইরে গেলে পুজো পাবেন শুধু ছোট মদনমোহনই।
কোচবিহারে রাসের পুজোয় দরকারী রাস চক্র। রাস যাত্রার আগেই মদনমোহন মন্দিরে আসে রাসচক্র। এই রাসচক্র বংশপরম্পরায় তৈরি করে এক মুসলিম পরিবার। এবারও রাসচক্র তৈরি করছেন সেই পরিবারের এক সদস্য, নাম আমিনুর হোসেন। উপোস করে নিরামিষ খেয়ে রাস বানান আমিনুর।