শনির সকালে ভয়াবহ ঘটনা। দাউ দাউ আগুনে আতঙ্ক পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি রেলওয়ে স্টেশনে। এই ঘটনায় স্টেশন চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা, যাত্রী ও স্টেশনের দোকানদাররাও এই ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দারা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলকর্মীরা। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে তাঁরা। তবে কী থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা, তা এখনও জানা যায়নি।

কী ঘটনা?

দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ কুলটি স্টেশনের তিন নম্বর প্লাটফর্মের ফুট ওভার ব্রিজের নীচে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ব্রিজের নীচে থাকা রেলের গোডাউনে আগুন লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। লেলিহান আগুনের শিখা রেলের ফুট ওভার ব্রিজ পর্যন্ত ছুঁয়ে যায়। খবর পেয়ে কুলটি থানার পুলিশ ও আরপিএফ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।

পুলিশ পৌঁছে স্টেশনে থাকা যাত্রীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আসানসোল থেকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন দমকলকর্মীরা। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ দমকলকর্মীদের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে গোডাউনে থাকা রেলের তার পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Howrah Fire: ফের হাওড়ায় অগ্নিকাণ্ড, সাতসকালে প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
কী থেকে আগুন লাগল?

কী কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট করে জানা যায়নি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্ত করে দেখছেন রেলের আধিকারিকরা। তবে গোডাউনের দায়িত্বে থাকা রেলে সুপারভাইজার জানিয়েছেন, শর্ট সার্কিটের কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে তদন্তের পরই আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কুলটি স্টেশনে আতঙ্ক

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কুলটি স্টেশনের দোকানদার ও সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তন্ময় পাল নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন ধরার জন্য এখানে এসে দেখি দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। স্টেশনের দোকানদার ও স্থানীয়রাই প্রথম আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। দমকলকর্মীরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসেন। কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি এটাই অনেক।’

কুলটি স্টেশনের এক দোকানদার বলেন, ‘সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে এই আগুন লেগেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। পুলিশ ও দমকলের তৎপরতার কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এসেছে। নইলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version