মন্দারমণিতে তৈরি হচ্ছে একের পর এক অবৈধ হোটেল নির্মাণ। সমুদ্র সৈকতের ধারে ভূমি সংস্কার দফতরের অনুমতি ছাড়াই এই হোটেলগুলি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এরকমই, নির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক রিসর্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠাল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

কী জানা যাচ্ছে?

প্রায় সারা বছরই পর্যক্তদের ভিড় উপচে পড়ে এই সৈকত শহরে। প্রতি দিনই হাজার হাজার পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। উন্নতমানের এই পর্যটনের কারণেই ভালো মুনাফা লোটার লোভে মন্দারমণিতে সৈকতের ধারে গড়ে উঠছে একাধিক অবৈধ রিসর্ট। এরকমই পাঁচটি রিসর্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠাল ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

কাদের পাঠানো হল নোটিশ?

জানা গিয়েছে, মনসা মন্দির এলাকায় বসুন্ধরা রিসর্ট, গ্যালাক্সি বিচ রিসর্ট সহ নতুন তিনটি রিসর্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। বিএলআরও কাছ থেকে সঠিক অনুমতি পত্র তাঁদের কাছে কিনা সে বিষয়ে প্রমাণপত্র চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সেই প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, নতুন যে নির্মাণগুলি গড়ে উঠছে, তাঁদের কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বসুন্ধরা রিসর্ট মালিক বারাসতের বাসিন্দা জনৈক রূপক সাহা, গ্যালাক্সি বিচ রিসর্ট এর মালিক কলকাতার বাসিন্দা সুধীর মণ্ডল এবং বাকি তিনটি অর্ধ নির্মিত রিসর্টগুলির নির্মাতা হল যথাক্রমে মনোজ সামন্ত, সত্যরঞ্জন শীল, অরুণাভ মণ্ডল। প্রত্যেককেই ভূমি সংস্কার দফতরের তরফে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, ভূমি সংস্কার দফতরে তরফে আরও জানা গিয়েছে, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ রুখতে একটি তিন সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর থেকেই তাঁরা সরেজমিনে এই অবৈধ নির্মাণগুলি পরিদর্শন করবেন বলেও জানানো হয়েছে।

Digha News : দিঘায় বিরাট বদল! গাড়ি নিয়ে এই নিয়ম না মানলে পোহাতে হতে পারে আইনি ঝঞ্ঝা
উল্লেখ্য, গত অগাস্ট মাসেই অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মন্দারমণিতে।কাঁথি প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে অবৈধ নির্মাণ কার্য রুখতে সক্রিয় হয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ। তবে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধার মুখে পড়ে প্রশাসনকে। মন্দারমণি সংলগ্ন পুরুষোত্তমপুরে সমুদ্র উপকূলে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে তৎপর হয় প্রশাসন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version