এই সময়: রাতভর কলকাতার পাঁচটি হাসপাতালে চক্কর কাটার পর অবশেষে শনিবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনের হস্তক্ষেপে এম আর বাঙুরে ভর্তি হলেন ভবানীপুরের বাসিন্দা, হৃদরোগে আক্রান্ত শর্বরী চক্রবর্তী। পরিবারের অভিযোগ, বাঙুর, এসএসকেএম, এনআরএস, মেডিক্যাল কলেজ – সর্বত্রই রোগী নিয়ে গিয়ে তাঁদের শুনতে হয়েছে, বেড নেই। আবার, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হবে শুনে ফিরিয়ে দিয়েছে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতাল। হৃদরোগে আক্রান্ত শর্বরীর মেয়ে রূপসা বলেন, ‘শুক্রবার রাত ন’টা থেকে মাকে ভর্তির জন্য পাঁচটি হাসপাতাল ঘুরেও বেড পাইনি আমরা। অবশেষে শনিবার সকালে অ্যাডমিশন হলো!’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন বৈঠকে প্রায়ই স্পষ্ট জানিয়ে থাকেন, কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। বেড না থাকলে পাশের হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেত হবে। রোগী যাতে ন্যূনতম চিকিৎসা পান, সে বন্দোবস্ত অন্তত করতেই হবে বলে জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, শুক্রবার রাতে শর্বরীদের অভিজ্ঞতায় ফের প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের ভূমিকা।

শনিবার সকালে ঘটনার কথা জানতে পারেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। তিনিই ওই বৃদ্ধার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর হস্তক্ষেপে এ দিন সকালে বাঙুরে ভর্তির ব্যবস্থা হয় শর্বরীর। তবে তাঁর শারীরিক অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য, ‘এমআর বাঙুর হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। ফলে, কী চিকিৎসা হচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছি না।’ যদিও হাসপাতাল জানিয়েছে, রোগীকে সুস্থ করার যাবতীয় চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তা বলেন, ‘কেন এমন হলো, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version