ওডিশার পুরীর ধাঁচে দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির গড়ে তোলার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো মন্দির তৈরি কাজও শুর হয়। কাজ চলছে জোরকদমে। মন্দির তৈরির বিষয়টি পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন।

দিঘা পরিদর্শন প্রশাসনিক কর্তাদের

আগামী বছরই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন। এপ্রিল মাসে উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে দিঘায় নির্মীয়মান জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করতে আসেন পশ্চিমবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব দেবাশিস সেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা সহ জেলা ও রাজ্যের আধিকারিকরা। মন্দিরের কতটা কাজ এগিয়েছে, এদিন তা ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। প্রতিমাসে পরিদর্শন চলবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন কোনও কথা না বললেও মুখ খুলেছেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কতটা হয়েছে, কি পর্যায় রয়েছে তা দেখতেই স্যর এসেছিলেন। এলাকা পরিদর্শন করার পাশাপাশি শ্রমিক ও নির্মাণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন। এখানকার নক্সা খতিয় দেখেন। দ্রুত নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ যাতে হয় সেই জন্য প্রতিমাসে একবার করে আসবেন বলে জানিয়েছেন দেবাশিস বাবু।’

Digha Beach : দিঘায় পর্যটকদের হেল্পলাইনে গুড মর্নিং থেকে শনির দশা কাটানোর টোটকা! তিতিবিরক্ত প্রশাসন
দিঘা জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তৎপরতা

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন আগামী ২০২৪ এর এপ্রিল মাসে মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর প্রশাসনিক কর্তারা তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন। হাতে আর অল্প দিন। সেই সময়ের মধ্যে এত বড় প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ করতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে হুবহু মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২২ সালের মে মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। মমতা জানিয়েছে ১৭ একর জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে এই মন্দির। মন্দির তৈরির জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দ্রুত মন্দির তৈরির কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুর হয়েছে কাজ। কবে এই এই মন্দির উদ্বোধন হয় সেটাই দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version