শরীরে বিভিন্ন অংশে ট্যাটু করানো হালফিলের অন্যতম ফ্যাশন স্টেটমেন্ট। তবে ট্যাটু করাতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খসে যায় মোটা টাকা। ট্যাটু পার্লারগুলি চার্জ নিয়মিত বাড়িয়েই চলেছে। বড় বড় অভিনেতা থেকে খেলোয়াড়, অনেকেই এখন ট্যাটুতে মজেছেন। জেনারেশন এক্সের মধ্যেও ট্যাটু করানোর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। ফ্যাশন ও পার্সোনালিটি তুলে ধরার এক অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে ট্যাটু। কিন্তু, ট্যাটু করাতে এখন আর মোটা টাকা খরচ করতে হবে না। নামমাত্র টাকাতে এবার শরীরে নানা অংশে ফুটিয়ে তোলা যাবে ট্যাটু।

কম খরচে ট্যাটু

অতীতে অনেকেই দেহের বিভিন্ন অংশে উলকি করতেন। এখনকার ট্রেন্ড ট্যাটু। কোনও পার্লারে না গিয়েই এখন নাম মাত্র টাকায় ট্যাটু করে নিজেকে সাজিয়ে তুলতে পারেন অতি সহজেই। নামীদামি পার্লারে গিয়ে এমন ধরনের ট্যাটু করাতে খরচ পড়ে কয়েক হাজার টাকা। কিন্তু, বিভিন্ন মেলায় বসা ট্যাটু আর্টিস্টরা খুব কম খরচে এঁকে দিচ্ছেন ট্যাটু। উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের একটি মেলাতে দেখা গেল এমন ট্যাটু আর্টিস্টদের।

রাস্তার ধারে বসেই অনায়াসে তাঁরা শরীরের যে কোনও অংশে এঁকে দিচ্ছেন পছন্দের ছবি, সিম্বল ও লেখা। বর্তমানে যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পেন পয়েন্টার যন্ত্রের দ্বারা নিখুঁত ট্যাটু ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। এই ট্যাটু আর্টিস্টরা সেই কাজই করছেন। খরচ পড়ছে ৭০০ থেকে ১৫০০ টাকা।

Calcutta High Court: ট্যাটু নিয়ে বেকায়দায় যুবক, চাকরি পেতে আদালতের দ্বারস্থ
ট্যাটুর রং ক্ষতিকর নয়, দাবি শিল্পীদের

ট্যাটু শিল্পীদের দাবি, ট্যাটু করতে যে রং ব্যবহার করা হয়, তা শরীরের কোনও ক্ষতি করে না। তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্যাটু আঁকার আর্সেনিক, বেরিলিয়াম, ক্যাডমিয়াম, পারদ, সীসার মতো অনেক পদার্থ থাকে। যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে। ট্যাটুর রং ক্ষতি করতে পারে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গেরও। যদিও এই বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করেই বহু মানুষকে ট্যাটু করাতে দেখা যাচ্ছে। নামীদামি পার্লার ছেড়ে এই ট্যাটু শিল্পীদের কাছে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই।

ট্যাটু শিল্পী আনন্দ দত্ত বলেন, ‘আমরা পেন মেশিন দিয়ে ট্যাটু করি। আগে কয়েল মেসিন ব্যবহার করা হত, কিন্তু তাতে কাজ করতে সমস্যা হত। দোকানে যে ট্যাটু করার জন্য যেখানে অনেক টাকা খরচ হয়, সেখানে আমরা খুবই কম টাকায় কাজ করি। তবে ট্যাটু থেকে কোনও শারীরিক সমস্যা হয় না। একই সুই ব্যবহার করে দু’জনের ট্যাটু করলে সমস্যা হতে পারে। এখনকার ছেলে মেয়েরা ট্যাটু করানোর জন্য খুবই আগ্রহী। সবসময়ই তাঁদের মধ্যে ট্যাটু নিয়ে আগ্রহ দেখা যায়। তাই মেলাতে বসে আমাদের কাজ ভালই হচ্ছে। রোজগারও হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version