এই সময়: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত শাস্তিমূলক পদক্ষেপও করতে দেখা যায় ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনকে। এখন দেখা যাচ্ছে, গত এক বছরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে মোট ১৪২টি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কারও সাময়িক পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছিল, কেউ কেউ আবার এখনও সাসপেন্ডেড রয়েছে। তবে কয়েকটি হাসপাতালের শাস্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ফের সেগুলি চালুও হয়েছে। এবার সেই তালিকা স্বাস্থ্যসাথীর পোর্টালেও তুলে দিল স্বাস্থ্য দপ্তর।

স্বাস্থ‌্যভবন সূত্রে খবর, সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্বাস্থ‌্যসাথী স্কিম কখনও বন্ধ করা হয় না। কারণ, সেখানে কোনও অনিয়ম হয় না। কিন্তু কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোম রয়েছে, যারা বারংবার স্বাস্থ‌্যসাথী স্কিমের নিয়মকানুন লঙ্ঘন করে অথবা এই স্কিমের সুবিধা নিয়ে অনৈতিক কাজ করে মুনাফা কামায়।

তাদের একাধিক বার সতর্ক করা বা শো-কজ় করা হলেও অনেক বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রেই কোনও লাভ হচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। অগত্যা সেই হাসপাতালগুলির ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় স্বাস্থ্য দপ্তর। তারই অঙ্গ হিসেবে এই ১৪২টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে সাময়িক বাদ দেওয়া হয়েছে। এবং তাদের নামের তালিকা স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের ওয়েবসাইটেও তুলে দেওয়া হয়েছে।

তবে এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল শাস্তির মেয়াদ ফুরোনোর পর নতুন করে স্বাস্থ্যসাথীতে পরিষেবা দিতে শুরু করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়ার বেশ কয়েকটি হাসপাতাল। কিন্তু তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, গ্রেড এ থেকে বি-তে কিংবা বি থেকে সি-তে অবনমন হয়েছে। তাদের অধিকাংশই স্বাস্থ্য দপ্তরে তাদের গ্রেড উন্নয়নের অনুরোধ করেছে। অবশ্য এখন আরও সাতটি হাসপাতালের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

এক স্বাস্থ্যকর্তা এদিন বলেন, ‘স্বাস্থ‌্যসাথীতে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল মানুষ অগ্রাধিকার পায়। তাতে কোনও ব্যাঘাত সরকার বরদাস্ত করবে না। তাই নিয়মিত সারপ্রাইজ় ভিজি়ট হচ্ছে।’ ছোট ও মাঝারি হাসপাতালগুলির সংগঠন প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন বলেন, ‘যারা সত্যি অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কড়া পদক্ষেপ করুক সরকার। কিন্তু সেই ব্যবস্থা নিতে গিয়ে যাতে নির্দোষ নার্সিংহোম ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটাও স্বাস্থ্য দপ্তরকে দেখতে হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version